১৮ দিন পালিয়ে পালিয়ে বেরোনোর পর অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন অলিম্পিক্সে জোড়া পদকজয়ী কুস্তিগীর সুশীল কুমার। তাকে অ্যারেস্ট করল দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। কুস্তিগীর সাগর রানা কে হত্যার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ভারতের হয়ে অলিম্পিকে মেডেল আনা সুশীল কুমার। কুস্তিগীর সাগর রানা হত্যা মামলায় অভিযুক্ত সুশীলকে ধরতে ১ লক্ষ টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল দিল্লী পুলিশ। তারপর থেকে ফোনের সিম পাল্টিয়ে পাল্টিয়ে পেশাদার দের মতোই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন সুশীল। টানা ১৮ দিন দিল্লী পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেরোনোর পর শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে গেলেন দিল্লি পুলিশের হাতে এই ৩৭ বছরের সফল কুস্তিগীর।
কুস্তিগীর সুশীল কুমারের বিরুদ্ধে ২৩ বছর বয়সী কুস্তিগীর সাগর রানাকে খুনের অভিযোগ আছে। এই খুনের ঘটনাটি গত ৫ মে ছত্রসাল স্টেডিয়ামে ঘটেছিল। খুন হয়েছিলেন যিনি সেই সাগর দিল্লি পুলিশের একজন হেড কনস্টেবলের পুত্র। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল গাড়ি পার্কিং করা নিয়েই বচসা থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। তবে তদন্ত এগোতে উঠে এসেছে অন্য কোথাও। এর সাথে নাকি জড়িয়ে রয়েছে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ও। এমনকি, বিষয়টি শুধু হাতাহাতিতেই থেমে থাকেনি। গুলিও চালানো হয়েছিল।
এরপরই তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে সুশীল কুমার এই সব কিছুতে জড়িয়ে রয়েছে এবং খুন, অপহরণ এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের জন্য সুশীল কুমারের বিরুদ্ধে দিল্লী পুলিশের তরফে এফআইআর দায়ের করা হয়। এই ঘটনা ঘটার পরই আত্মগোপন করেছিলেন সুশীল কুমার। পরে সুশীল কুমারের বিরুদ্ধে লুক-আউট নোটিশ জারি করা হয়েছিল। প্রথমে সুশীলের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি হয়, পরে সুশীল কুমারের খোঁজ দিতে পারবে যে তার জন্য দিল্লি পুলিশ ১লক্ষ টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করে।
অবশেষে দিল্লী পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সুশীল কুমার। তার মত কুস্তিগীরের এই ধরনের ঘটনায় নাম জড়িয়ে যাওয়ার স্তম্ভিত গোটা দেশ।