দেশ জুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই বাড়ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিসের (Mucormycosis) সংক্রমন। ভারতে করোনা সংক্রমনের মধ্যেই ভাইরাসের দোসর হয়ে উঠছে এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। করোনা আবহের ভয়াবহ এই ছত্রাক জনিত রোগ এবার সত্যি সত্যিই মহামারীর আকার নিচ্ছে। দেশজুড়ে এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত হচ্ছেন বহু কোভিডজয়ী। দ্রুত বাড়ছে কোভিডের পরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের থেকে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে এখনও পর্যন্ত মিউকোরমাইকোসিস বা ব্ল্যাগ ফাঙ্গাস সংক্রমন ধরা পড়েছে ৮ হাজার ৮৪৮ জন রোগীর শরীরে। মাত্র কিছুদিনের মধ্যে এই সংক্রমণের গতি ভাবিয়ে তুলছে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রককে (Ministry of Health)।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো রঙের এই ছত্রাক (Black Fungus) সবচেয়ে বেশি মারাত্মক রূপ নিয়েছে করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) রাজ্য গুজরাটে। গুজরাটে এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকোরমাইকোসিসের কবলে পড়েছেন ২ হাজার ২৮১ জন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার জন। অন্ধ্রপ্রদেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৯১০ জন এবং মধ্যপ্রদেশে ৭২০ জন এই মিউকোরমাইকোসিস বা কৃষ্ণ ছত্রাকের কবলে পড়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছে, যে রাজ্যে মিউকোরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগীর সংখ্যা বেশি, সেই সেই রাজ্যে বেশি করে এই রোগের ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। সেই দাবি অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ওষুধও পাঠানো হয়েছে গুজরাটে। গুজরাট পেয়েছে ওষুধের ৫ হাজার ৮০০টি ডোজ। দ্বিতীয় স্থানে স্বাভাবিক ভাবেই মহারাষ্ট্র। সেই রাজ্য পেয়েছে ৫ হাজার ৯০টি ডোজ।
বাংলায় যেহেতু এখনও পর্যন্ত ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তের সংখ্যা কম, তাই পশ্চিম বঙ্গে এসে পৌঁছেছে AMPHOTERICIN B’র মাত্র ৫০টি ডোজ। যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে,ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ AMPHOTERICIN B’র উৎপাদন বাড়ানো হচ্ছে। এবং আসছে দিনে আক্রান্তের সংখ্যা অনুযায়ী রাজ্য গুলি প্রয়োজন মতো ওষুধ পাবে।