এক মাতাল দম্পতি ফ্লাইটের ভেতরে মাতাল হয়ে এমন কিছু করেছেন যা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ইজিজেটের এই ফ্লাইটটি লিভারপুল থেকে টেনেরিফে যাচ্ছিল। কিন্তু মাঝ আকাশে পরিস্থিতি কিছুটা এমনই দাড়ায় যে সেটিকে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে অবতরণ করাতে হয়। যেখানে এই অদ্ভুত আচরণ করা দম্পতিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ফ্লাইটে অনেক লোক ছিল যারা ছুটি কাটাতে যাচ্ছিল, কিন্তু তাদের জন্য এই যাত্রা এক ‘নারকীয় অভিজ্ঞতা’ হয়ে গেল। ইজিজেট ফ্লাইটটি জন লেনন বিমানবন্দর (লিভারপুল) থেকে উড্ডয়ন করেছিল।
৪৯ বছর বয়সী হান্স মাহেরলাও এমনই এক ব্যক্তি যিনি এই ফ্লাইটে ছিলেন। তিনি ল্যাঙ্কাশায়ার (ইউকে) থেকে এসেছেন। করোনা মহামারির পর প্রথমবারের মতো ছুটিতে যাচ্ছিলেন তিনি। ফ্লাইটে গোলযোগের কথা জানান তিনি। হ্যান্স একটি ছবিও ক্লিক করেছিলেন, যেখানে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তার আসনের কাছে দাঁড়িয়ে মদ্যপান করতে দেখা যায়।
হ্যান্সের মতে, ফ্লাইটে ওঠার সময় দম্পতি প্রচুর মদ্যপান করছিলেন। এ সময় বিমানে শুল্কমুক্ত মদ এবং সিগারেট না খাওয়ার ঘোষণা করা হয়। কিন্তু দম্পতি সেইসব নিষেধাজ্ঞায় কর্ণপাতও করেনি। তারা টয়লেটে গিয়ে সিগারেট খেতে শুরু করেন। হ্যান্স আরও বলেছেন যে ১০ মিনিট এমনটা চলার পরে পাইলট ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি ফ্লাইটটি লিসবনে অবতরণ করাচ্ছেন।
এর পরই মহিলাটি রেগে গিয়ে দরজায় লাথি মারতে শুরু করেন। পরে এই দম্পতিকে লিসবনে নামিয়ে দেওয়া হয়। এ কারণে ফ্লাইটটি প্রায় দেড় ঘণ্টা বিলম্বে গন্তব্যে পৌঁছায়। অন্যান্য যাত্রীরা এই মাতাল দম্পতির হাত থেকে মুক্তি পেয়ে টেনেরিফে পৌঁছানোর সাথে সাথে হাততালি দিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন।
বিমান সংস্থার বিবৃতি
এ ক্ষেত্রে ইজিজেট কোম্পানির মুখপাত্রের বক্তব্যও এসেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করছি যে ৬ জুলাই লিভারপুল থেকে টেনেরিফগামী ফ্লাইট EZY7169 লিসবনে ডাইভার্ট করা হয়েছিল। দুই যাত্রীকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এই ধরনের ঘটনা বিরল, কিন্তু আমরা এই বিষয়গুলি খুব গুরুত্ব সহকারে নিই। ফ্লাইটে আপত্তিজনক বা হুমকিমূলক আচরণ সহ্য করা হয় না। আমাদের গ্রাহক এবং ক্রু মেম্বারদের নিরাপত্তা এবং মঙ্গল আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার।