উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় ঝাড়ফুঁক দিয়ে প্রেমের ভূত দূর করা মহন্তকে আটক করেছে পুলিশ। ঝাড়ফুঁকের অজুহাতে ২০ বছরের এক দলিত মেয়েকে ধর্ষণ করেন মহন্ত বলে অভিযোগ। পরিবারের অভিযোগে ধর্ষণ ছাড়াও ঝাড়ফুঁকের নামে টাকা নেওয়া, এসসি-এসটি আইন-সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে, দিল্লিতে বসবাসকারী এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল ওই তরুণীর। স্বজনরা বিষয়টি জানতে পেরে প্রেমের ভূত ছাড়াতে এই বাবার শরণাপন্ন হয়েছিলেন। তারা মেয়েটিকে সিয়া বল্লভ কুঞ্জ নয়াঘাটের মহন্ত হনুমানদাসের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবেন। পরিবার শুনেছিল মহন্ত ফুঁ দিয়ে প্রেমের রোগ দূর করে।
মা-বাবাকে পাঠিয়েছেন প্রেমের ভূত তাড়াতে:
নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, ঝাড়ফুঁকের অজুহাতে মহন্ত মেয়েটির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। বুধবার সন্ধ্যা পাঁচটার দিকে তাকে ডাকা হয়। বাবা-মাকে বাইরে পাঠানোর পর মহন্ত মেয়েটিকে ঘরে নিয়ে যান। সেখানে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। একই সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের বাইরে গিয়ে রামের পায়ে পড়তে প্রার্থনা করতে বলা হয়।
মেয়েটি তার অভিজ্ঞতার কথা স্বজনদের জানায়:
পরিবারের লোকজন মেয়েটিকে বাড়িতে নিয়ে যেতেই সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এরপর জ্ঞান ফেরার পর তাদেরকে পুরো ঘটনা খুলে বলে ওই তরুণী। স্বজনরা অযোধ্যা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। খবর পেয়েই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযুক্ত মহন্ত হনুমান দাস বাসিন্দা সিয়া বল্লভকুঞ্জ নয়াঘাটকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তের পর পুলিশ মহন্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ অন্যান্য ধারায় মামলা রুজু করেছে। বর্তমানে মামলার তদন্ত চলছে।
ইতিমধ্যেই বিবাহিত ও কন্যাসন্তানের বাবাও ওই মহন্ত:
এদিকে অভিযুক্ত মহন্ত হনুমান দাস বিবাহিত এবং তার তিনটি মেয়েও রয়েছে। হনুমান দাস দীর্ঘদিন ধরে ঝাড়ুদারের কাজ করছেন, তাই তাঁর পরিবারের সদস্যরা মন্দিরের অন্য অংশে থাকেন। শিয়া বল্লভ কুঞ্জের মন্দিরে যেখানে এই ঘটনা ঘটেছিল, সেটি সিয়াবল্লভ কুঞ্জের প্রাক্তন মহন্ত, অযোধ্যা দাস ১৯৮৯ সালে শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাসের নামে একটি নিবন্ধিত উইল করেছিলেন। তাই এই মন্দির নিয়ে আচার্য সত্যেন্দ্র দাস ও কথিত মহন্ত হনুমান দাসের মধ্যে মামলাও চলছে।