বিহারের আরারিয়া জেলা থেকে একটি মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এসেছে। গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করতে যেই প্রেমিক তার বাড়িতে পৌঁছায় তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় নিজের আত্মীয়দের বিরুদ্ধে খুনের গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন প্রেমিকা ওই তরুণী। তিনি বলেন, তার পরিবারের সদস্যরা তাকেও পর্যন্ত হত্যা করতে চেয়েছিল। যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় হতবাক স্থানীয় পুলিশও। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে এ হত্যা মামলার তদন্ত চলছে।
প্রেমিকের মরদেহ কোলে নিয়ে কাঁদতে থাকা আরতি কুমারী কল্পনাও করেননি যে যখন তিনি তার প্রেমিকাকে তার সঙ্গে দেখা করতে বাড়িতে ডেকে আনবেন, সেটাই হবে তার প্রথম ও শেষ সাক্ষাৎ। অভিযোগ রয়েছে যে আরতির আত্মীয়রা তার প্রেমিক ছোটু কুমারকে এমনভাবে মারধর করে যে তার মৃত্যু হয়। ঘটনাটি রানীগঞ্জের খরসাই গ্রামের। ছোটু যাদব নামে এক যুবকের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন আরতি কুমারী। এই ভাবে চলতে চলতে দুজনেই প্রেমে পড়েন। প্রেমিক ও প্রেমিকা একে অপরের সাথে অবশ্য দেখা করেননি এই পর্যন্ত। তারা শুধু ফোনেই কথা বলত। একদিন আরতি ছোটুকে তার সাথে দেখা করতে বাড়িতে ডেকে পাঠায়। কিন্তু আরতির বাবা, দাদা, বৌদি, বৌদির ভাই ও অন্যান্য আত্মীয়রা মিলে দুজনকেই বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। এরপর দুজনকে দুটো আলাদা ঘরে আটকে রাখা হয়। এসময় মারধরে গুরুতর আহত ছোটু মারা যায়।
খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে:
ছোটুর মৃত্যুর খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় শুরু হয়। বিপুল সংখ্যক গ্রামবাসী মেয়েটির বাড়ির বাইরে তোলপাড় শুরু করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আড়ারিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। আরারিয়া এসডিপিও পুষ্কর কুমার জানিয়েছেন, পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে মেয়েটির ভাই ও বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে
শুধু ফোনে কথা বলতো:
প্রেমিক ছোটু ভার্গমার রাহাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা, আর তার বান্ধবী আরতি রানিগঞ্জের খরসাই গ্রামের বাসিন্দা। দুজনেই এর আগে একে অপরকে কখনো দেখেনি। তারা শুধু ফোনেই কথা বলত। জানা গিয়েছে, আরতি ও ছোটুর প্রেমের সম্পর্ক মেয়েটির বৌদির পছন্দ ছিল না। এই কারণেই খুন হয়েছে বলে অভিযোগ।