উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুর জেলায় প্রকাশ্য দিবালোকে বাড়িতে ঢুকে এক মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করেছে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা। ঘটনার খবর পেয়ে এসপিসহ পুলিশ বাহিনী পুরো ঘটনার তদন্তে নামেন। পরিবারের সদস্যরা জানায়, বাড়ির জল নিষ্কাশন নিয়ে পাড়ার বাসিন্দা হরি ওম গুপ্তার সঙ্গে বিরোধ চলছিল। পরে সন্ধ্যায় পুলিশ চৌকিতে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। সবচেয়ে বড় কথা হল এই হত্যার ঘটনাটি প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশ চৌকির থেকে সামান্য দূরেই ঘটানো হয়েছে। এবং পুলিশ বা আশেপাশের লোকজন কেউই বিষয়টি জানে বলে মনে হয় না।
খুনের অভিযোগে প্রতিবেশী:
ঘটনাটি জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। হত্যাকাণ্ডের খবর পাওয়া মাত্রই বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন এসপি। ঘটনাস্থল ঘনিষ্ঠভাবে পরিদর্শন করার পর, এসপি আবুনগর ফাঁড়ির ইনচার্জকে দ্রুত ঘটনাটি প্রকাশের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে প্রতিবেশী দ্বারা হত্যার সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নিহতের ভাই।
মেয়ে বাড়িতে একা ছিল:
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখা যাক যে আবুনগর মহল্লার বাসিন্দা প্রভাত কুমার গুপ্তের মেয়ে সরস্বতী বাড়িতে একা ছিলেন। মা মায়া গুপ্তা ও ভাই শিব অবতার গুপ্ত বৃহস্পতিবার তাদের বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন। আর সকালে বাবা প্রভাত সদর হাসপাতালের সামনে ছোলার গাড়ি বসাতে যান। সরস্বতী বাড়িতে একাই ছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে চারটার দিকে ভাই ও মা বাড়িতে পৌছালে বোনকে ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে ফেলা হয়।
ঘটনার খবর আশেপাশের লোকজনের নজরে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান এসপি রাজেশ সিং। ঘটনাস্থল ঘনিষ্ঠভাবে পরিদর্শন করার পর, এসপি কোতোয়ালি পুলিশকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘটনাটির তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ।
নিহতের ভাইয়ের বক্তব্য:
নিহতের ভাই শিব অবতার গুপ্ত জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী হারিওমের সাথে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে এবং গত সন্ধ্যায় আমার বোনের সাথে তার জল নিষ্কাশন নিয়ে ঝগড়া হয়। যার ব্যাপারে বোন ফোনের মাধ্যমে আমাদের জানান। আমি এবং আমার মা গত ২৭শে জুন প্রয়াগরাজ গিয়েছিলাম এবং আজ যখন আমি বাড়িতে আসি, দেখি আমার বোনকে খুন করা হয়েছে এবং নিথর দেহ বাড়িতে পড়ে আছে। আমার বোনকে খুন করেছে পাড়ার বাসিন্দা হারিওম ও তার ছেলে প্রমোদ।
পুলিশের তদন্তে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পাড়ার বাসিন্দা হরি ওম-এর জল নিষ্কাশন নিয়ে বিবাদ ছিল। এ ঘটনায় গতকাল পুলিশ চৌকিতে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তিও হয়েছে এবং ঘটনার সত্যতা প্রকাশ করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।