উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া জেলার একটি গ্রামে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে সোমবার বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক কাকা ও তার ভাইজি। এই মামলাটি বারহাজ থানার অন্তর্গত একটি গ্রামের সাথে সম্পর্কিত, যদিও উভয় পক্ষই পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি।
কাকা এবং ভাইজির প্রণয় সংক্রান্ত এক মর্মান্তিক পরিণতির ঘটনা সামনে এসেছে। জানা গেছে, ৩০ বছর বয়সী যুবক শচীনের সঙ্গে তার ২৫ বছর বয়সী ভাইজি সোনির প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে গ্রামে স্থানীয়দের মধ্যে তুমুল আলোচনা হতো। দুজনেই একে অপরকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু গ্রামবাসীরা এবং পরিবারের সকলে এই কাকা-ভাইজির সম্পর্কে বাধার কারণে হয়ে দাঁড়ায়। এই কারণে তারা বিয়ে করতে পারেননি। পরিবারের লোকজন বোঝানোর পরও দুজনেই কেউ কাউকে ছাড়তে রাজি হচ্ছিলেন না। দুজনে একে অপরের সঙ্গে থাকতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কাকা ভাইজি কে গ্রামের বাহিরে মাঠে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর দুজনেই বিষাক্ত দ্রব্য খেয়ে ফেললে ঘটনাস্থলেই ওই যুবকের মৃত্যু হয় এবং মেয়েটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়েটির মৃত্যু হয়।
পুলিশ অফিসার পঞ্চম লাল এই ঘটনা সম্পর্কে বলেন, বারহাজ থানা এলাকার অন্তর্গত একটি গ্রামে বসবাসকারী শচীনের তার ভাইজি সোনির সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সোমবার দু’জনেই মাঠে গিয়ে বিষ খেয়ে ফেলেন। তিনি জানান, অল্প সময়ের মধ্যে যুবকটি অজ্ঞান হয়ে গেলেও মেয়েটি কোনোমতে বাড়িতে পৌঁছে পরিবারের সদস্যদের ঘটনাটি জানায়। পরিবার মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।