স্টেডিয়ামে বসে ম্যাচ দেখার মজাই অন্যরকম। সেরা যখন বিশ্বকাপের ম্যাচ হয় তখন তো কথাই নেই। মজা, পার্টি, কোলাহল… ফুটবল বিশ্বকাপে এসবই মাঠে ও মাঠের বাইরে দেখা যায়। তবে নভেম্বরে কাতারে অনুষ্ঠেয় ফিফা বিশ্বকাপ দেখতে আসা ফুটবল ভক্তদের কঠোর নিয়ম মেনে চলতে হবে।
আসলে কাতারে যৌনতা সংক্রান্ত কঠোর নিয়ম রয়েছে। স্বামী বা স্ত্রী ছাড়া অন্য কারো সাথে সম্মতিক্রমে যৌন সম্পর্কও বেআইনি এবং কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। তাই, কাতারে আসা সিঙ্গেলরা যদি কারো সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করতে গিয়ে ধরা পড়ে, তাহলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতে পারে। সমকামী সম্পর্কে বসবাসকারী দম্পতির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। নিয়ম না মানলে দর্শকদের জেল হতে পারে, তাও এক-দুই নয়, ৭ বছরের। আসলে এবার ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক কাতার।
ওয়ান-নাইট স্ট্যান্ডে ৭ বছর পর্যন্ত জেল:
এবারের ফুটবল বিশ্বকাপে ওয়ান-নাইট স্ট্যান্ড (এক রাতের জন্য যৌনতা) সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হবে বলে এখানে আগত ফুটবল ভক্তদের সতর্ক করেছে কাতার। কেউ এর সঙ্গে জড়িত প্রমাণিত হলে সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
কাতার পুলিশকে উদ্ধৃত করে ‘ডেইলি স্টার’ বলেছে, আপনি যদি স্বামী-স্ত্রী হিসেবে আসছেন, তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু আপনি যদি এই সম্পর্কভুক্ত হয়ে না আসেন, তাহলে যৌন মিলন আপনার জন্য কোনো দূরের স্বপ্ন হতে পারে। এবারের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো যৌনতার উপর নিষেধাজ্ঞা বাধ্যতামূলক। কোলাহলপূর্ণ পার্টিও নিষিদ্ধ। উল্লেখ্য, ম্যাচের পর মদ্যপান ও পার্টি করা বিশ্বকাপে ভক্তদের একটি প্রবণতা।
খোলা রোম্যান্স সংস্কৃতির অংশ নয়
কাতারে বিয়ের বাইরে যৌনতা এবং সমকামিতা অবৈধ। এমন পরিস্থিতিতে কাতারের হোটেলগুলো আলাদা আলাদা পদবিধারী দম্পতিদের রুম দিচ্ছে না। কাতারে ফিফা ২০২২ বিশ্বকাপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের বলেছেন যে প্রতিটি দর্শকের নিরাপত্তা আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খোলামেলা রোমান্স আমাদের সংস্কৃতির অংশ নয়। কেউ এখানে আসতে চাইলে আমাদের দেশের নিয়ম মেনে চলতে হবে।
এদিকে কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আল আনসারি বলেছেন যে তিনি গেমগুলিতে রংধনু রঙের পতাকা নিষিদ্ধ করার কথাও বিবেচনা করছেন। তিনি বলেছিলেন যে আপনি যদি LGBTQ সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শন করতে চান তবে এটি এমন একটি সমাজে প্রদর্শন করুন যেখানে এটি গৃহীত হয়। কাতার এর জন্য সঠিক নয়।
