মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলা থেকে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে যাতে আবারো ধর্মীয় কুসংস্কারের দিকটি উঠে এলো। জানা গিয়েছে সেখানকার একটি মেয়ে মন্দিরে তার জিভ কেটে দেবীকে উৎসর্গ করেছে। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের আমিলিয়া থানা এলাকার বড়গাঁও গ্রামের। খবর পেয়ে সবাই মন্দিরে পৌঁছে যায়। মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে সেখানে পড়ে ছিল। কিন্তু কেউ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি। উল্টে সেখানেই পুজো অর্চনা চলতে থাকে।
আস্তে আস্তে এই খবরটি চতুর্দিকে চাউর হয়ে যায়। খবর পাওয়া মাত্রই কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের চিকিৎসকের সঙ্গে মন্দিরে পৌঁছে যায় পুলিশও। মেয়েটিকে চেক আপ করা হয় সেখানে। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা উঠলে মন্দিরে উপস্থিত লোকজন এর বিরোধিতা করেন। আশ্চর্য ভাবে তারা বলেন, যতক্ষণ মেয়েটির জিভ ফিরে না আসবে ততদিন মন্দিরে পূজা চলবে।
কিন্তু পুলিশ ও পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় মেয়েটিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। মেয়েটির অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
ঘটনার সময় বাবা কাজে বেরিয়েছিলেন:
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের ধারণা ছিল না মেয়েটি এমন কিছু করতে চলেছে। মেয়েটির বাবা লালমণি প্যাটেল জানান, তিনি বাড়িতে ছিলেন না, কোনো জরুরি কাজে বাইরে গিয়েছিলেন। কেউ তাকে ফোনে বিষয়টি জানায়। মন্দিরে পৌঁছে দেখেন, মেয়ে মন্দিরে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। সেখানে তার জিভও কাটা অবস্থায় পড়ে ছিল।
জিভ কেটে ফেলে দেবী মায়ের চরণে নিবেদন করে:
সরপঞ্চ প্রতিনিধি, গ্রাম পঞ্চায়েত বড়গাঁও সোনেলাল কোল জানান, মেয়েটির ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে এমনটা করেছে এবং সেই বিশ্বাসেই সে তার জিভ কেটে সে দেবী মায়ের পায়ের কাছে ফেলে দেয়। খবর পেয়ে আমরা মন্দির চত্বরে পৌঁছে মেয়েটির শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিই। শুনেছি চিকিৎসকরা বলেছে সে বিপদমুক্ত।