টানাপোড়েন শেষে নারদ কাণ্ডে ধৃত চার হেভিওয়েট জেল হেফাজত থেকে রেহাই পেলেন । তবে আপাতত তাঁদের গৃহবন্দি থাকতে হবে। চার নেতার অন্তর্বর্তী জামিন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।
শুক্রবার সকালে শুনানি হয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। অন্তর্বর্তী জামিন নিয়ে দুই বিচারপতির মধ্যে মতভেদ তৈরি হয় সেখানে। অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জামিন মঞ্জুর করলেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই অর্ডার নিয়ে তর্কাতর্কি চলে এখনও। অর্থাৎ জটিলতা তৈরি হয় অন্তবর্তী জামিন মঞ্জুর নিয়ে। জানা যাচ্ছে, জেল হেফাজত থেকে মুক্তি পেলেও গৃহবন্দিই থাকতে হবে চার হেভিওয়েটকে আপাতত ।
নিয়ম অনুযায়ী, দুই বিচারপতি যেহেতু সহমত হননি সেই কারণেই তৈরি করতে হবে পরবর্তী বেঞ্চ। সেখানে পাঠানো হবে এই মামলা, ততদিন পর্যন্ত গৃহবন্দিই থাকতে হবে ফিরহাদ-সুব্রত-মদন-শোভনকে। যদিও গৃহবন্দি থাকাকালীন যাবতীয় সাহায্য করা হবে চিকিৎসায়। একইভাবে হেভিওয়েটদের, তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করতে হবে।
উল্লেখ্য, কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে বুধবার নারদ মামলার দ্বিতীয় শুনানি হয়েছিল। মূলত, সিবিআইয়ের হাতে ধৃত ২ মন্ত্রী-সহ রাজ্যের ৪ হেভিওয়েট নেতার জামিনে যে স্থগিতাদেশ জারি করেছিল উচ্চ আদালত, তা খারিজের আবেদন নিয়ে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি ছিল এদিন। পাশাপাশি, মামলার গুরুত্ব এবং সিবিআইয়ের আবেদনও শোনার কথা ছিল বিচারপতিদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তা অন্যত্র সরানো নিয়েও । তবে বুধবার প্রায় আড়াই ঘণ্টা সওয়াল-জবাব চলে দ্বিতীয় ইস্যু নিয়েই। ফলে কার্যত হয়নি জামিন মামলার শুনানি। তা হওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার দুপুরের পর। কিন্তু তা বাতিল হয় শেষ মুহূর্তে। শুক্রবার জামিন নিয়ে শুনানি চলে।