নিজের জীবনের এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করে নিয়েছেন এক মহিলা। কেটি নামের ওই মহিলার বয়স ২৭ বছর। তিনি জানান প্রায় ১০ বছর আগে যখন তিনি হাই স্কুলে পড়তেন তখন তার সাথে একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। আসলে সেই সময় তিনি একটি ছেলের সাথে সম্পর্কে জড়ান। সম্পর্কটা অনেকটাই টিনএজ রোমান্সের মতন ছিল। অর্থাৎ তাদের মধ্যে খুব গভীর কোনো শারীরিক সম্পর্ক কখনোই ছিল না।
কিন্তু হঠাৎই একদিন কেটি এমন একটি বিষয় দেখেন যা তার পায়ের তলার মাটি সরিয়ে দেয়। আসলে সেই সময় কোনো এক মাসে কেটির পিরিয়ড পিছিয়ে যায়। নির্দিষ্ট সময়ে ঋতুস্রাব শুরু না হওয়ায় বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন কেটি। এইদিকে ততদিনে ব্রেকআপ হয়ে গেছে তার কিছুদিন আগেই। কিশোরী বয়সের অজ্ঞতা, টেনশনের কারণেই হঠাৎই কেটি ভেবে বসে একবার প্রেগনেন্সি টেস্ট কিটে পরীক্ষা করে দেখা যাক। কি জানি! কিছু অঘটন ঘটে যায়নি তো!
এই ভাবেই একদিন ‘প্রেগন্যান্সি কিট’ কিনে এনে নিজের বাড়িতেই পরীক্ষা করিয়ে নিলেন কেটি। আশ্চর্য্যজনক ভাবেই সেই পরীক্ষার ফল এল পজিটিভ। কিন্তু বেশ অবাক হয়েই সে ভাবে যৌন সম্পর্ক স্থাপন না করেও কিভাবে সে প্রেগন্যান্ট হতে পারে? ভয়ে অস্থির হয়ে যায় কেটি। কি করবে, কি করা উচিৎ কোনো কিছুই যেন দিশা পায় না আর।
অবশেষে নিজের মা কে সবটা খুলে বলার সিদ্ধান্ত নেয় কেটি। সে জানায় প্রেগন্যান্সি কিটে পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে। এদিকে সে যে বয়ফ্রেন্ড এর সাথে কখনো যৌন মিলনে লিপ্ত হননি সেটাও জানায় মাকে। সবটা শুনে সেই ‘প্রেগন্যান্সি কিট’-টা দেখতে চাইলেন কেটির মা। আর দেখেই হেসে উঠলেন।
বিষয়টা কি? আসলে কেটি যে কিট কিনে এনেছিল সেটা ‘প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট’ ছিল না, সেটি ছিল ‘ওভিউলেশন টেস্ট কিট’। অর্থাৎ কোনো নারীর শরীরে ডিম্বাণু বেরোনোর সময়। ওই সময় কেটির ডিম্বাণু স্ফুটনের সময় চলছিল তাই ওই ব্যবহৃত কিটে দুটো দাগ দেখা গিয়েছিল, যা দেখে কেটির মনে হয়েছিল তিনি হয়তো কোনোভাবে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন!