আজও, সারা বিশ্বে এমন অনেক অদ্ভুত রীতিনীতি রয়েছে যা মানুষ অনুসরণ করে। শুধু বিশ্ব কেন আমাদের দেশ ভারতেও এমন অনেক ঐতিহ্য অনুসরণ করা হয়, যা শুনলে আপনি অবাক হবেন। ভারতে এমন অনেক সম্প্রদায় রয়েছে যেখানে আশ্চর্যজনক রীতিনীতি অনুসরণ করা হয়। পূজা থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত অদ্ভুত নিয়ম অনুসরণ করা হয়, যার আলাদা তাৎপর্য রয়েছে।
ভারতে যেকোনো সম্প্রদায়ের মধ্যেই বিয়ের গুরুত্ব অনেক বেশি। আজ আমরা আপনাকে এমন একটি সম্প্রদায় সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি যেখানে বিয়েতে একটি অদ্ভুত রীতি অনুসরণ করা হয়। এই সম্প্রদায়ে বিয়ের পর কনেকে লাল কোনো কিছু পড়ানো হয় না। এই কাজটি কনের বাবা-মা নিজেই করে থাকেন। বিধবার সাজে কনের বিদায় হয়। আসুন জেনে নিই ভারতের এই সম্প্রদায়ের লোকেরা কেন এমন করে।
আমরা যে গ্রামের কথা বলছি সেটি মধ্যপ্রদেশের মান্ডলা জেলায় অবস্থিত। এই গ্রামের নাম ভীমডংরি যেখানে আদিবাসী সমাজ বাস করে। এই আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে, বিবাহ খুব আড়ম্বর সঙ্গে হয়। ভারতীয় বিয়ের মতো এই গ্রামেও বিয়ে হয়, তবে বিয়ে করার পর অদ্ভুত রীতি অনুসরণ করা হয়।
এই অদ্ভুত প্রথায় সাদা পোশাক পরিহিত অবস্থায় নববধূকে বিদায় জানানো হয় নিজের পিতৃগৃহ থেকে শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে। এই গ্রামে বিয়ের পর বিদায়ের সময় কনেকে সাদা পোশাকে বিধবার মতো সাজানো হয়। এখানে কনে এবং গ্রামের সব মানুষ বিয়েতে সাদা পোশাক পরে।
জেনে নিন কেন সাদা পোশাক পরা হয়:
এখন নিশ্চয়ই আপনার মনে প্রশ্ন জাগে যে কেন এমনটা করা হয়? আসলে এই প্রথার পিছনে একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। এ গ্রামের মানুষ গন্ডি ধর্ম পালন করে। এই লোকেরা সাদা রঙকে শান্তির প্রতীক মনে করে। এ ছাড়া এই রঙকে পবিত্র বলে মনে করা হয় যাতে কোনো ভেজাল নেই। তাই বিয়েতে সাদা পোশাক পরা শুভ বলে মনে করা হয়। এখানকার লোকেরা উপজাতীয় রীতিনীতি থেকে আলাদা নিয়ম অনুসরণ করে। এই গ্রামে মদ নিষিদ্ধ।
জেনে নিন গ্রামে কী নিয়ম
এমন পোশাক পরা ছাড়াও এই গ্রামে অনেক নিয়ম মানা হয়। বিয়েতে মানুষের এই পোশাক দেখে অবাক লাগে। এই সম্প্রদায়ে, কনের বাড়িতে এবং বরের বাড়িতে দুই বাড়িতেই সাতপাকে ঘোরার রীতি অনুষ্ঠিত হয়। কনের বাড়িতে চারটি পাক নেওয়া হয় আর বাকি তিনটি বরের বাড়িতে।