শহরের বুকে হাড়হিম করা ঘটনা। ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়া এক ছাত্রকে প্রায় কিলোমিটার খানেক বনেটে উঠিয়ে টেনে নিয়ে গেল পুলিশ লেখা একটি গাড়ি। এমনই ভয়ঙ্কর অভিযোগ সামনে এসেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোদপুরে। এই ঘটনায় লেক থানার এসআই সৌমেন দাসকে আটক করেছে পুলিশ।
গাড়ি পার্কিং নিয়ে কিছু কথা কাটাকাটির কারণেই নাকি এর সূত্রপাত ৷ এই কারণেই এক তরুণকে ধাক্কা মেরে বনেটে তুলে সেই অবস্থাতেই ‘ছুটিয়ে’ দিল গাড়ি এক পুলিশ এসআই৷ শুধু তাই নয় গাড়ি থামিয়ে এরপর ওই যুবককে নাকি মারধরও করেন অভিযুক্ত। সব থেকে চাঞ্চল্যকর বিষয় অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশে কাজ করেন ! তিনি কলকাতা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত। নাম সৌমেন দাস। তিনি বর্তমানে লেক থানায় পোস্টেড রয়েছেন ৷ গ্রেফতার (Kolkata Police SI Arrested) হওয়ার পর তাঁকে বারাকপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে। আদালত নির্দেশ দিয়েছে একদিনের জন্য বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর।
সূত্র অনুযায়ী শুক্রবার রাতে বিরিয়ানি কিনতে গিয়েছিলেন ম্যানেজমেন্টের এক ছাত্র যার নাম রবি সিংহ। তিনি খড়দার বাসিন্দা। সেখানেই গাড়ি পার্কিং ঘিরে বচসা বাঁধে। সংবাদমাধ্যম এর কাছে যুবক দাবি করেছে, হঠাৎই গাড়ির পেছনে এসে ধাক্কা মারে পুলিশ স্টিকার লাগানো গাড়িটি। সেখানে ফাঁকা জায়গা ছিল। যুবক থামতে বলায়ও শোনেনি। এরপর ধাক্কা মারার চেষ্টা করে গাড়িটি।
রবির দাবি, সেই ভাবেই দ্রুতগতিতে গাড়ি ছোটাতে শুরু করেন অভিযুক্ত সৌমেন ৷ গাড়ির বনেট কোনোরকমে আঁকড়ে ধরে সাহায্যের জন্য আর্ত চিৎকার করতে থাকেন রবি৷ এই দৃশ্য দেখে পথ চলতি মানুষ অবাক হলেও কেউ সাহায্য করেনি। এক কিলোমিটার পথ পার করে একটি পেট্রল পাম্পের কাছে গাড়ি থামান সৌমেন৷ রবিও কোনও মতে বনেট থেকে নামতে না নামতেই অভিযুক্ত সৌমেন তাঁকে মারধর করতে শুরু করেন বলে অভিযোগ৷ এরপর গাড়ি নিয়ে সেখান থেকে চলে যান ওই এসআই৷
এরপরে এই নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত এসআইকে গ্রেফতার করে। তবে জানা গিয়েছে সম্পূর্ন ঘটনার ভিডিয়ো করেন ওই যুবক। সেই ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, গাড়ি থামাও। কিন্তু গাড়ি ছুটতেই থাকে বলে অভিযোগ। সাহায্যের জন্য তিনি চিৎকার শুরু করেন। পরে পুলিশে অভিযোগ জানালে ওই এসআই গ্রেফতার হয়।