যদিও বিড়াল খুব বুদ্ধিমান এবং গৃহপালিত পশুও বটে। কিন্তু পশু হয়ত পশুই থেকে যায়। কখন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে, কখন নিজের মালিককেই নিজের খাদ্য বানিয়ে ফেলবে বলা যায় না। আর সবথেকে বড় কথা যখন বিষয়টা পেটের খিদের, তখন কেউ কারোর নয়, সে মানুষ হোক বা পশু। সেই সমস্ত বিড়ালের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছিল যাদের খিদে এতটাই ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছিল যে খেতে কিছু না পেলে তারা নিজেদের মালকিনকেই ছিঁড়ে খেয়ে ফেলেছিল।
রাশিয়ার বাতায়েস্ক শহরের একটি ঘটনা সবাইকে হতভম্ব করে দেয় যখন জানা যায় যে এক মহিলাকে তার ২০টি বিড়াল একসাথে মিলে খেয়ে ফেলেছে। প্রায় দুই সপ্তাহ পর পচা গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাটি জানা যায়। আসলে মহিলার মৃত্যুর পর বাড়িতে ক্ষুধার্ত ছিল বিড়ালরা। তাই তারা যা পেয়েছে তা দিয়েই পেট ভরিয়ে ছিল। মহিলাটি তার বাড়িতে বিড়াল পুষতো।
মালকিন মারা যাওয়ার সাথে সাথে বিড়ালরা তার শরীরে আঁচড় দেয়:
প্রতিবেশীর খবরে পুলিশ ওই মহিলার বাড়িতে ঢুকে ভিতরের দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে যায়, বিকৃত মহিলার শরীর বিড়াল ঘেরা অবস্থায় মাটিতে পড়ে ছিল। প্রায় ২০টি বিড়াল তার শরীরে বসে তাকে আক্রমণ করে। চারপাশে রক্তের চিহ্ন ছিল এবং বিড়ালের মুখও লাল ছিল। সেখানে কী ঘটছিল তা বুঝতে কারো অসুবিধা হয়নি। বিড়াল তাদের মালিকের শরীরের প্রায় অর্ধেক খেয়ে ফেলেছে। আর বাকিটাও নির্মূলের প্রস্তুতিতে ছিল। প্রসঙ্গত জানুন যে বিড়ালগুলি এই ভয়ঙ্কর কাণ্ড করেছে তাদের আমেরিকার সবচেয়ে ভদ্র প্রজাতির বিড়াল বলে মনে করা হয়, যার নাম মেইন কুন ক্যাটস। মেইন কুনগুলি বেশ প্রশস্ত এবং আকারে বড়। এদের খুব শান্ত বলে মনে করা হয়। কিন্তু এরা যেভাবে মালকিনের শরীর খেয়েছেন দিয়েছেন তা বিস্ময়কর।
মালকিনের মৃত্যুর কারণে খাবারের অভাব দেখা দিলে খুদায় কাতর ছিল বিড়ালগুলি।
বিশেষজ্ঞর বলেছেন: বিড়ালগুলো অনেকক্ষন একা ছিল। তাহলে তারা কিই বা করতো? আসলে, দুই সপ্তাহ আগে মালকিন মারা যায় এবং সে বাড়ির ভিতরে মাটিতে পড়ে যায়। যার কারণে বিড়ালদের খাওয়া-দাওয়ার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। এমতাবস্থায় ক্ষুধা নিবারণের জন্য সামনে যা পাওয়া গেল, তা দিয়েই পেট ভরিয়ে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে শুরু করে বিড়ালগুলি। এর আগেও, সারা বিশ্বে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে যখন বিড়ালরা বাড়িতে মারা যাওয়ার পরে তাদের মালিককে খেয়ে ফেলে।