উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলা থেকে এক ভয়াবহ ঘটনা সামনে এসেছে। মঙ্গলবার সকালে সন্দেহজনক অবস্থায় নিজ বাড়িতে এক মহিলার মৃতদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পুলিশ মৃতদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠিয়েছে। বলা হচ্ছে, ওই মহিলা দশ বছর ধরে এক যুবকের সঙ্গে লিভ-ইনে থাকছিলেন।
খুনের অভিযোগ তুলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন ওই মহিলার পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে একটি টিম গঠন করে লিভ-ইনে থাকা যুবককে হেফাজতে নিয়ে নেয়। তাকে কঠোরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে হত্যার কথা স্বীকার করে নেয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তথ্য অনুযায়ী, শহরের কালিঞ্জর থানা এলাকার এক মহিলা ১০ বছর ধরে শহরের এক ব্যক্তির সঙ্গে লিভ-ইন রিলেশনে বসবাস করছিলেন। নিহত ব্যক্তি হার, চুড়ি, টিপ বিভিন্ন প্রসাধনী জিনিসপত্রের দোকান চালাতেন। তার মা এবং অন্যান্য আত্মীয়রা তার পাড়ায় তার বাড়ী থেকে কিছুটা দূরে থাকতেন। মঙ্গলবার তাকে দেখতে না গেলে পরিবারের লোকজন বাড়িতে এসে বাড়ির ছাদে ওই মহিলার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। সেখানে তার সঙ্গে লিভ ইনে থাকা ব্যক্তি পলাতক ছিল। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
খুনের অভিযোগ তুলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন ওই মহিলার পরিবারের সদস্যরা। মহিলার অভিযুক্ত পুরুষ সঙ্গীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রতিদিনের ঝগড়ার কারণেই শ্বাসরোধ করে ওই নারীকে হত্যা করেছে সে। পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে জেলহাজতে পাঠায়। নিহতের ৮ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। কালিঞ্জর শহরে থাকতেই প্রেমে পড়েছিলেন ওই যুবক ও মহিলা।
প্রায় ১০ বছর ধরে লিভ-ইন রিলেশনে থাকছিলেন দুজনেই। ডিএসপি নিতিন কুমার জানান, বাড়িতে একটি মৃতদেহ পড়ে রয়েছে বলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। মৃত্যুর কারণ জানতে পোস্টমর্টেম করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে ওই নারীর সঙ্গে থাকা যুবককে না পাওয়ায় সন্দেহের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে মহিলাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।