রাজস্থানের পুষ্করে বিয়ের কয়েকদিন পরেই নাবালিকা ননদকে সাথে নিয়ে পালিয়ে যায় নববধূ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় বেশ শোরগোল পরে গিয়েছে। জানা গিয়েছে গত ২৭শে মে ঝাড়খণ্ডের জুম্মা রামগড়ের বাসিন্দা ২৫ বছর বয়সী পূজা পুষ্করের সাথে পঞ্চকুন্ড রোডের বাসিন্দা ২৮ বছর বয়সী ইয়াতু শ্রীবাস্তবের বিয়ে হয়েছিল।
ইয়াতুর বিয়ের জন্য গত ৪ মাস ধরে দুই পরিবারের যোগাযোগকারী ঘটক পঙ্কজ কুমার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। পঙ্কজ কুমারও ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। বিয়ের খরচ বাবদ শ্রীবাস্তব পরিবার পঙ্কজকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিল।
ধুমধাম করেই বিয়েটা হয়েছিল। বিয়ের কিছুদিন পর স্বামী ইয়াতু কাজের সূত্রে বাইরে চলে যায়। এদিকে গত ১০ই জুন পাত্রী বাড়িতে কাউকে কিছু না জানিয়ে তার ১৩ বছর বয়সী ননদ কে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। বেরোনোর আগে তার শাশুড়ি শশিবালা এবং শ্বশুর দয়াপ্রকাশকে তালা বন্ধ করে রেখে যায় একটা রুমে। এরপর তারা আর বাড়ী ফেরেনি।
শ্বশুর দয়া প্রকাশ ঘর থেকে কোনোমতে বেরিয়ে বাড়িতে তল্লাশি চালালে বিয়ের সময় কনে কে দেওয়া সোনার গয়না, মোবাইল ও ক্যামেরার হদিশ মেলে না। পরিবারের সদস্যরা প্রথমে পুত্রবধূ ও মেয়েকে তাদের পর্যায়ে খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। দুজনের কাউকেই খুঁজে না পেলে অবশেষে শ্বশুর পুষ্কর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
পুষ্কর থানার এএসআই অমরচাঁদ জানিয়েছেন, ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ স্ক্যান করা হয়েছে কনে পূজা ও তার ননদের খোঁজে। এর পাশাপাশি পুষ্কর বাস স্ট্যান্ড এবং আজমির রেলস্টেশনেও ছবির মাধ্যমে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত পুলিশের তদন্তে যা সামনে আসছে যে পূজা ও তার ননদ ঝাড়খণ্ড চলে গেছে। পুষ্কর পুলিশ বিষয়টি নিয়ে জুম্মা রামগড় পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে। বর্তমানে তদন্ত চলছে।
বলা হচ্ছে পূজার স্বামী ইয়াতু প্রতিবন্ধী। সে কিছু শুনতে বা বলতে পারে না। এ কারণে বিয়ের জন্য পঙ্কজ কুমার কে ঘটক নিযুক্ত করে শ্রীবাস্তব পরিবার। পঙ্কজ ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা তার ভগ্নিপতি রক্ষা ও তার পরিচিত উর্মিলার সঙ্গে বিয়ের উদ্দেশ্যে পরিচয় করিয়ে দেয়। এরপরে তারা বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। শ্রীবাস্তব পরিবার তাদের ১৩ বছরের মেয়েকে নিরাপদে ফিরে পেতে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের কাছে আবেদন করেছে। এখন কনে নিজেই পালিয়েছে নাকি অন্য কিছু আছে, কনে পূজার খোঁজ পাওয়া গেলে তবেই জানা যাবে।