সারা জীবন কাটিয়েছেন রঙিন ভাবেই। ফর্মুলা ওয়ান রেসার কিংবদম্তী জেমস হান্ট এর জীবনের ব্যাপারে নানা অজানা দিক উন্মোচিত করলো তার ছেলে। সত্তরের দশকে রেসিং ট্র্যাকে গাড়ির কেরামতি দেখানোর জন্য যেভাবে মানুষ তাকে মনে রেখেছেন ঠিক ততটাই পরিচিত ছিলেন একজন ‘প্লে বয়’ হিসাবেও। বহু মহিলার সঙ্গে সারাজীবনে স্থাপন করেছেন যৌন সম্পর্ক। সেই সব কাহিনী এখনো সকলের মুখে মুখে।
বলা যায় নিজের পুরো জীবনে তিনি নাকি প্রায় ৫০০০ জন মহিলার সঙ্গে যৌনতা করেছেন। এতে যেন তিনি ক্লান্তই হতেন না। ১৯৭৬ সালে ফর্মুলা ওয়ানের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ানশিপের জন্য তোড়জোড় করছিলেন যখন সেই সময় প্রায় ৩৫ জন বিমানসেবিকা একেক রাতে একেক জন তার শয্যাসঙ্গী হন। শুনলে সাধারণমানুষ-এর অবাক লাগবে একথা বলাই বাহুল্য। কিন্তু ১৯৯৩ সালে মাত্র ৪৫ বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যান জেমস হান্ট। তবে যতদিন বেঁচেছিলেন রঙিন মেজাজেই বাঁচতে পছন্দ করতেন।
কিছুদিন তাঁর ছেলে ফ্রেডি তাঁর বাবার জীবনের বিষয়ে বলতে গিয়ে নানা অদ্ভুত ঘটনা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু তিনি জানিয়েছেন অনেকেই বলতেন তার বাবা মাদক সেবন করতেন। কিন্তু এই অভিযোগটি একেবারে মিথ্যা। ফ্রেডি বলে তার বাবা কোনদিনই এমন কিছুতে আসক্ত ছিল না।
ফ্রেডি বলেছেন, ‘‘আমার বাবা আমোদ ফুর্তি করতে বেশ ভালবাসতেন। তিনি মাঝেমাঝে কোনো পার্টিতে গিয়ে সেই সময় কোকেন নিয়ে থাকতে পারেন। কিন্তু মাদক নিয়মিত রূপে সেবন করতেন না তিনি।’’ তবে বাবার জীবনে বহু নারীর আগমনের বিষয়টি সত্যি। তিনি বলেছেন যে তার বাবা বহু নারীর সাথে সম্পর্ক করেছেন। ১৯৭৬ সালে ফর্মুলা ওয়ানের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ানশিপের প্রস্তুতি চলাকালীন একেক রাতে একেক বিমান সেবিকা আসতেন। আবার সকাল হলে যে যার নিজের বিমান ধরে নিতেন। আবার পালা আসতো অন্য বিমান সেবিকার। ফর্মুলা ওয়ান রেসার কিংবদম্তী জেমস হান্ট এর উপর একটি চলচ্চিত্রও রয়েছে।