কিছুদিন আগে সদ্যই বিয়ে করা এক দম্পতি হঠাৎই হাসপাতালে এসে হাজির হন আচমকা। চিকিৎসকদের স্বামীর এমন এক সমস্যার কথা বলেন স্ত্রী যা শুনে তারাও অবাক। বলেন, বেশ এক মাস আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকে তার স্বামী বন্ধুর কথা মেনে লিঙ্গ দৃর করতে রোজই যৌন উদ্দীপক ওষুধ ভায়াগ্রা খাচ্ছিলেন। আর তাতেই দুজনের জীবনে এসেছে বড় জটিলতা। সমস্যা এমন আকার ধারণ করেছে যে এখন আর কোনো পথ না পেয়ে অবশেষে হাসপাতালেই ছুটে এসেছেন তারা।
মাসখানেক আগে বিয়ে করেছিলেন ওই যুবক। লিঙ্গ শিথিলতার কিছু সমস্যা থাকায় বিবাহিত জীবন নিয়ে কিছুটা টেনশনে ছিলেন। তার চিন্তার কথা শুনে ওই যুবকের এক বন্ধু ভায়াগ্রা খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু যে সীমিত ডোজের ভায়াগ্রা খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন ওই বন্ধু, সেই ডোজের তুলনায় অনেকটাই বেশী প্রায় চার গুণ মাত্রায় ভায়াগ্রা খেতে শুরু করেন ওই যুবক। শেষ অবধি শারীরিক উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে তাঁকে। ওই যুবক ডাক্তারদের জানিয়েছেন, তিনি রোজ ২০০ মিলিগ্রামের মত ওষুধ খেতেন। বন্ধুর পরামর্শে এই ওষুধ খেয়ে লিঙ্গ শিথিলতার সমস্যা দূর হয় ঠিকই, কিন্তু তিনি ও স্ত্রী পড়েন চরম প্রচণ্ড সমস্যায়।
ওই ব্যক্তি চিকিৎসকদের বলেছেন, তিনি ভায়াগ্রা সেবনের কারণে টানা ২০ দিন ধরে তাঁর লিঙ্গ উত্থিত হয়ে রয়েছে। শুধু তাই নয় প্রচণ্ড ব্যাথায় কষ্ট পাচ্ছেন তিনি। এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে যে স্বামীর যৌন উত্তেজনার কারণে বিরক্ত স্ত্রী চলে গিয়েছিলেন বাপের বাড়ি। পরে ওই যুবকের কাতর আবেদনে স্ত্রী বাড়ী ফিরে এলেও তাঁর সেই উত্তেজনা কমেনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীয়ের পরামর্শে হাসপাতালে এসে চিকিৎসা করাতে চান তিনি।
উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায চমকে গিয়েছেন চিকিসকরা। সঠিক বিশেষজ্ঞরের পরামর্শ ছা়ড়া যে কোনও ওষুধ খাওয়া উচিত নয়, তার ফল কী হতে পারে, এই ঘটনা যেন তার উদাহরণ।