ইন্দোর পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ তিনজন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে, যারা তন্ত্র কর্মের নামে মানুষের সাথে প্রতারণা করছিলেন। এই সব দুষ্কৃতীরা মাঝরাতে শ্মশানে যেতেন। নর কঙ্কালের উপর বসে তন্ত্রসাধনা করতেন এবং তারপরে এই তন্ত্র সাধনার নাম করে মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন। কিন্তু এই ছলচাতুরির পর্দা ফাঁস হয় সম্প্রতি।
ইন্দোর ক্রাইম ব্রাঞ্চ এমনই তিন ঠগকে অ্যারেস্ট করেছে। তারা তন্ত্রমন্ত্র এর মাধ্যমে টাকা দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছিল। এক দম্পতির কাছ থেকে চার লাখ ১৬ হাজার টাকা এইভাবেই প্রতারণা করা হয়েছে। দম্পতির অভিযোগের ভিত্তিতে, ভানওয়ারকুয়া থানা একটি অভিযোগ নথিভুক্ত করে এবং অভিযুক্তদের সন্ধান শুরু করে, এদিকে ক্রাইম ব্রাঞ্চ জানতে পেরেছিল যে এলাকায় একটি গ্যাং সক্রিয় রয়েছে যারা রাতের অন্ধকারে শ্মশান ইত্যাদিতে প্রার্থনা করতে যায়। এই চক্রটি মানুষকে প্রতারণা করেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তাদের আটক করে কঠোর জিজ্ঞাসাবাদ করলে অভিযুক্তরা তাদের অপরাধ স্বীকার করে।
এই এলাকায় বসবাসকারী এক দম্পতি ইন্দোরের ভাওয়ারকুয়ান থানায় অভিযোগ করেছিলেন যে তারা কিছু তান্ত্রিকের দ্বারা প্রতারিত হয়েছে। টাকা দ্বিগুণ করার কথা বলে বাড়িতে এসেছিল এই তান্ত্রিকরা। এরপর টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। ওই দম্পতির অভিযোগের ভিত্তিতে ভানওয়ারকুয়া থানায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ যখন অভিযুক্তদের খোঁজ করছিল, তখন শ্মশানের তথ্য পাওয়া মাত্রই তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ দমন শাখা। পুলিশ অভিযুক্তদের কাছ থেকে টাকা এবং ব্যবহৃত জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে।
শ্মশানে মধ্যরাতে পূজাপাঠ করতেন এরা:
ওই দম্পতির সঙ্গে আন্নু নামে এক যুবকের পরিচয় ছিল। সন্তানদের ফি দেওয়ার মতো টাকা ছিল না এই দম্পতির কাছে। তারা বিষয়টি আন্নুর কাছে জানালে তিনি তার তান্ত্রিক বন্ধু সুরেশের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। বলে সুরেশ তোমাদের টাকা দ্বিগুণ করে দেবে। দম্পতিও এই কথায় বিশ্বাস করে তাদের বাড়ি বন্ধক রাখে এবং তান্ত্রিককে চার লাখ টাকা দেয়। জানা গেছে একটি কঙ্কালের ভিডিও দেখিয়ে তাকে ভরসা দেন তান্ত্রিক। সুরেশ তাদের দুবার শ্মশানে নিয়ে যায় এবং মাঝরাতে তন্ত্রমন্ত্র করতো। কিছুক্ষণ পর তাকে অজ্ঞান করে টাকা নিয়ে হাপিস করে দেয়। পরিবারের সদস্যরা প্রতারণার ব্যাপার বুঝতে পারে।
ভুক্তভোগী দম্পতির অভিযোগ, তথ্য-প্রমাণ নিয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ওই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্তরা শহর ও আশপাশের এলাকায় একই ধরনের প্রতারণার ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে পুলিশের সন্দেহ। তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ।