গৃহবধূর সাথে পরকীয়ার জড়িয়ে তার সাথে দেখা করতে চেয়ে পূর্ব বর্ধমান থেকে ডায়মন্ড হারবারে এসে সাক্ষাৎ না হওয়ায় বিষ খেয়ে আত্মঘাতী যুবক। প্রায় ৮ মাস আগে ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়ার সময় পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার হুরকাডাঙা নিবাসী যুবক ইয়ার মহম্মদ মল্লিক (বয়স ২৫ বছর) এর সাথে ট্রেনেই পরিচয় হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি থানা নিবাসী এক গৃহবধুর। ওই যুবক ইয়ার মহম্মদ মল্লিক পেশায় ১ জন ঠিকাদার। ট্রেনে যাত্রাকালে পরিচয় হওয়ার পর একে অপরকে নিজেদের ফোন নম্বরও দেন তারা। এরপর যে যার উদ্দেশ্য অভিমুখে চলে গেলেও ফোনে কথা হতো তাদের। এইভাবেই পরিচয় গড়ায় ঘনিষ্ঠতায়। এবং একে অপরের প্রেমে পড়েন। এমনকি চুড়ান্ত কষ্টে আছেন বলে নাকি ওই বিবাহিতা মহিলা বেশ কয়েকবার ওই যুবকের থেকে টাকা পয়সা নেয় বলে অভিযোগ।
যুবকের পরিবারের দাবী ওই গৃহবধূ যুবককে বলে সে তাকে বিয়ে করতে ইচ্ছুক। এরপর থেকেই বেশ কয়েকবার ওই গৃহবধূর সঙ্গে গিয়ে দেখাও করে আসতেন পূর্ব বর্ধমানের ওই যুবক।
ওই মৃত যুবকের পরিবারের সদস্য দের থেকে জানা যাচ্ছে যে , গত শনিবার সকালের দিকে কেরলে যাবে বলে ইয়ার মহম্মদ মল্লিক নামের ওই যুবক পূর্ব বর্ধমানের বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। তারপরে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ ওই যুবকের পরিবারের লোকজনকে খবর দেয় যে ডায়মন্ড হারবার থানার বাসুলডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পঞ্চ গ্রামে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে তাদের ছেলে ।
তারপরই পুলিশ মর্গে এসে পৌছায় ইয়ার মোহাম্মদ মল্লিকের পরিবার এবং শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া শেষ হতে না হতেই এই ঘটনায় জড়িত ওই গৃহবধূর বিরুদ্ধে ডায়মন্ডহারবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশের সূত্রে খবর, ইয়ার মোহাম্মদ মল্লিক নামের যুবক শনিবার পঞ্চগ্রাম এলাকায় রাস্তার উপরেই বিষ খেয়ে নেয় এর পরে স্থানীয় লোকজন পঞ্চগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে তাকে উদ্ধার করে ভর্তি করলে যদিও তাতেও কোনও উন্নতি হয় নি তবে ওই যুবকের অবস্থার অবনতি হলে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে তাকে স্থানান্তরিত করলে সেখানেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের।
পুলিশের সন্দেহ যে , উস্থি থানার এক গৃহবধুর সাথে দেখা করতে আসেন ওই যুবক , কিন্তু অবশেষে দেখা না হওয়াতে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ওই যুবক। অন্যদিকে পরিবারের পক্ষ থেকে ডায়মন্ড হারবার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় ডায়মন্ড আবার থানার পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে।