বিয়ের ৭ বছর পরও পুত্রবধূর কোনো সন্তান না হয়নি। এই শ্বশুরবাড়ির লোকজন জঘন্য ষড়যন্ত্র করে পুত্রবধূকে জোরপূর্বক তার মামা ও খুড়তুতো দেওরের হাতে তুলে দেয়। যেখানে দুজনেই ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনার পর পুত্রবধূকে বাড়িতেই বন্দী করে রাখা হয়। নির্যাতিতা তার ভাইকে নিয়ে মাতৃগৃহে পৌঁছে দোষীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়। এ ঘটনায় পুলিশ দুই দেওর, শাশুড়ি, দুই ননদ ও স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলার। ওই জেলার আতারা শহরের বাসিন্দা ২৯ বছর বয়সী এক নারীর বিয়ে হয় ২০১৪ সালের ৮ই মার্চ শহরের কোতোয়ালি এলাকার একটি এলাকায়। নির্যাতিতা জানান, তার স্বামী সন্তান উৎপাদনে সক্ষম নন। এ কারণে শাশুড়ি ও ননদরা তাঁকে প্রায়ই সন্তান না হওয়ার জন্য কটূক্তি করতেন। এদিকে, গত ১৭ই নভেম্বর, ২০২১ এ, শাশুড়ি বংশধর আনার জন্য তার ভাইয়ের ছেলের সাথে পুত্রবধূকে ঘরে তালাবদ্ধ করে দেয়। নির্যাতিতা মহিলা জানায় ‘বাইরে থেকে ঘরে তালা ঝুলিয়ে রেখে দেয়, আমি প্রতিবাদ করলে শাশুড়ি বলেন, সন্তান ধারণের জন্য তোর দেওরের সাথে শারীরিক সম্পর্ক কর।’ এরপর তার দেওর তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরের দিন ১৮ নভেম্বর শাশুড়ি ও দুই বোনের বর, খুড়তুতো ভাইয়ের সঙ্গে মিলে তাকে ঘরে আটকে রেখে আবার ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, তিনি তার স্বামীকে বিষয়টি জানালে তিনি বলেন, মা যেমন বলছে তেমন কর। এ ঘটনার পর ওই বধূকে বাড়িতেই বন্দী করে রাখা হয়। তাকে কারো সাথে কথা বলতে দেয়া হয়নি। সে তার ভাই এবং বাবার সাথে দীর্ঘদিন যোগাযোগ করতে পারেনি, যার কারণে বাবা ভাইকে খোঁজ নিতে পাঠান। তারপর ঘটনার প্রায় ১ বছর পর সে বাবার বাড়িতে আসে ভাইয়ের সাথে। এরপর ঘটনাটি সবাইকে জানানো হয়।
নির্যাতিতা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। এদিকে, কোতোয়ালি থানা পুলিশ অভিযুক্ত দুই দেওয়া, শাশুড়ি, ননদ ভগ্নিপতি ও স্বামীর বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করেছে যারা জোরপূর্বক ধর্ষণে প্ররোচনা দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে কোতোয়ালি ইনচার্জ রাজেন্দ্র সিং রাজাওয়াত জানান, ওই মহিলার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।