বুধবার ভোরে নেপাল কেঁপে উঠল ভূমিকম্পের জেরে । ভারতের জাতীয় ভূতাত্ত্বিক কেন্দ্র এই খবর জানায়। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৮। এই ভূমিকম্পের ফলে ঠিক কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও অবধি বোঝা যায়নি।
নেপালের জাতীয় ভূতাত্ত্বিক কেন্দ্রের দাবি অনুযায়ী, বুধবার নেপালের স্থানীয় সময় অনুযায়ী সকাল ৫ টা বেজে ৪২ মিনিটে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ১১৩ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে কম্পন অনুভব করা গেছে। এএনআই (ANI) সূত্রে জানা গেছে জাতীয় ভূতাত্ত্বিক কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ লোকবিজয় অধিকারী সংবাদ মাধ্যম কে জানিয়েছেন, ‘আজ সকাল ৫ টা বেজে ৪২ মিনিটে লামজুং জেলার ভুলভুলেতে এই ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ধরা পড়েছে ৫.৮।’
ভারতের জাতীয় ভূতাত্ত্বিক কেন্দ্রের সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঠমান্ডুর ১১৩ কিলোমিটার পশ্চিম দিকে আর কাঠমাণ্ডুর উত্তর-পশ্চিমে ১১১ কিলোমিটার দূরে মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল। মার্কিন ভূ-সর্বেক্ষণ কেন্দ্রের দাবি অনুযায়ী আবার, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতার মাত্রা ছিল ৫.৩। তবে এখনও অবধি এই ভূমিকম্প থেকে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর বা হতাহতেরও কোনও খবর আসেনি। তাই এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
প্যারিসের ১টি ভূতাত্ত্বিক নজরদারি সংস্থাও এই ভূমিকম্পের সম্পর্কে জানিয়েছে। তাদের দাবি অনুযায়ী, ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে ভারতের কিছু জায়গাতেও। যেমন উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলী, মুজফ্ফরপুরের মতো জায়গায় খুব হাল্কা কম্পন ধরা পড়েছে। তবে তা ভাল ভাবে অনুভব করতে পারেননি স্থানীয় বাসিন্দারা। পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গে কম্পন অনুভূত হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য পাওয়া যায় নি। ভারতের জাতীয় ভূতাত্ত্বিক কেন্দ্রের তরফেও এই বিষয়ে সবিস্তারে কিছু জানানো হয়নি।