মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের সিংগ্রাউলি থেকে এক অদ্ভুত ঘটনা সামনে এসেছে। ৩২ বছর বয়সী এক মহিলা ১৬ বছর বয়সী এক নাবালক ছেলেকে বিয়ে করে তার সাথে পালিয়ে গেছে। ঘটনাটি সিংরাউলির খুতার চৌকি এলাকার। এখন ছেলের খোঁজে দ্বারে দ্বারে হোঁচট খেয়ে হন্যে হয়ে খুঁজছে নাবালকের বাবা-মা। তাদের অভিযোগ, এই ঘটনার তদন্ত শুধু কাগজ কলমেই হচ্ছে।
আদতে খুতরের বাসিন্দা কমলেশ শাহ অভিযোগ এনেছেন যে তার অনুপস্থিতিতে সরপঞ্চের নির্দেশে তার দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঠরত ছেলের এক ৩২ বছরের এক মহিলার সাথে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে নাবালকের বাবার মতে তার ছেলের বয়স মাত্র ১৬ বছর ৪ মাস।
সরপঞ্চের নির্দেশে বিয়ের পর, ৩২ বছর বয়সী ওই মহিলা ১৬ বছরের নাবালক ছেলের সাথে প্রায় পাঁচ দিন শ্বশুর বাড়িতেই থাকেন এবং গত ১৩ই মে মহিলাটি তার নাবালক স্বামীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। ছেলেটির বাবা পুলিশের কাছে এবং শিশু কল্যাণ কমিটির কাছে এই ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর পর সিঙ্গরাউলি কালেক্টর রাজীব রঞ্জন মীনা এসডিএম ঋষি পাওয়ারের নেতৃত্বে একটি দল গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এসডিএম নাবালকের বাবা-মাকে নিয়ে স্কুলে গিয়ে বয়ান রেকর্ড করেছেন। উল্লেখ্য যে ৩২ বছর বয়সী মহিলা ওই ছেলেটিকে বিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ তিনি খুতার গ্রামের বাসিন্দা, যার প্রথম বিয়ে হয়েছিল ৭ বছর আগে, কিন্তু ১ বছর শ্বশুর বাড়িতে থাকার পর ওই মহিলা তার স্বামীকে ডিভোর্স দেন এবং মাতৃগৃহে বসবাস শুরু করেন।
এর পরে, তিনি উত্তর প্রদেশের শক্তিনগরে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়েছিল, কিন্তু সেখানেও তার বিয়ে টেকেনি বেশী দিন এবং তিনি আবার তার মাতৃগৃহে ফিরে থাকতে শুরু করেছিলেন। কিছুদিন আগে হঠাৎ ওই মহিলা তার পাড়ায় বসবাসকারী তার অর্ধেক বয়সী একটি ছেলেকে বিয়ে করার দাবী জানিয়ে সরপঞ্চের কাছে পৌঁছেয়। সরপঞ্চ তার দুজন লোক পাঠিয়ে গ্রামের পঞ্চায়েতের লোকজনের উপস্থিতিতে ছেলেটিকে ওই মহিলার সাথে বিয়ে করিয়ে দেন। এরপর ৫ দিন শ্বশুর বাড়িতে থাকার পর ওই নারী তার নাবালক স্বামীকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
পলাতক হওয়ার পর নাবালকের বাবা কমলেশ শাহ সিংরাউলি চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিভাবে এমনটা হলো, এবং নাবালক কোথায় এই নিয়ে তদন্ত চলছে।