দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে দাপট দেখিয়ে চলেছে করোনা। এখনও বিদায় নেয়নি ভাইরাস। তাই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। তবে ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এখনও চিন্তায় রাখছে দিল্লি ও মহারাষ্ট্রের কোভিড গ্রাফ। সেখানকার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও এখনও উদ্বেগজনক।
শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ২,৬৮৫ জন। যা গতকালের তুলনায় সামান্য কম। এর মধ্যে রাজধানী দিল্লিতেই আক্রান্ত ৪৪৫ জন। মহারাষ্ট্রে একদিনে আক্রান্ত ৫৩৬ জন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, ভারতে একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৩ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৫৭২।
গত ২৪ ঘণ্টায় খানিকটা বাড়ল সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যাও। বর্তমানে দেশে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৬ হাজার ৩০৮। গোটা দেশে অ্য়াকটিভ কেসের হার বেড়ে ০.০৪ শতাংশ। তবে হাসপাতালে ভরতির পরিমাণ আগের তুলনায় অনেকটাই কম।
সক্রিয় রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে থাকার পাশাপাশি স্বস্তিজনক সুস্থতার হারও। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৬ লক্ষ ৯ হাজার ৩৩৫ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২,১৫৮ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৭৫ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ১৯৩ কোটি ১৩ লক্ষের বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন ১৪ লক্ষের বেশি। জোর দেওয়া হচ্ছে বুস্টার ডোজেও। বিধিনিষেধ উঠে গেলেও কোনওভাবেই যাতে সংক্রমণ মাথাচাড়া না দেয়, তার জন্য টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে জোর দেওয়া হচ্ছে টেস্টিংয়েও। গতকাল দেশে ৪ লক্ষ ৪৭ হাজার ৬৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
ভারতের করোনা গ্রাফ বিশেষ উদ্বেগজনক না হলেও উত্তর কোরিয়ায় চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। সে দেশে একদিনে আক্রান্ত ৮৮ হাজারেরও বেশি। প্রায় প্রত্যেকেই উপসর্গ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে নতুন করে কোনও মৃত্যুর খবর নেই।