হিমাচল প্রদেশের উনা শহরে বিয়ে সংক্রান্ত এক অদ্ভুত ঘটনা সামনে এসেছে। এক যুবককে বিয়ে করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন শহরের চব্বিশ বছরের আরেক যুবক। ছেলে-ছেলের মধ্যে সমকামী বিয়ের এমন ঘটনা প্রথম দেখা গিয়েছে হিমাচল প্রদেশে।
ঘটনা টা ঠিক কি ঘটেছে? ফেসবুকে উত্তরাখণ্ডের এক যুবকের সঙ্গে উনা শহরের বাসিন্দা এক যুবকের বন্ধুত্ব প্রেমে রূপান্তরিত হয় এবং তারা দুজনেই দিল্লির একটি মন্দিরে বিয়ে করেন। ছয় মাস আগে দুজনের বিয়ে হয়। আসলে, উত্তরাখণ্ডের যুবকটির চেহারা কিছুটা মেয়েলি অর্থাৎ মেয়েদের মতো। এ কারণে কেউ বুঝতে পারেনি যে সে একটি ছেলে। এবং সমকামী বিয়ের বিষয়টি আড়ালেই ছিল।
কিন্তু সোমবার রাতে বিষয়টি জানাজানি হলে দুই যুবকের বিয়ে নিয়ে কথা হয়। হট্টগোল দেখে দুই যুবকই পুলিশের কাছে আশ্রয় চাইতে পৌঁছয়, যেখানে উত্তরাখণ্ড থেকে যুবকের পরিবারের সদস্যদের ডেকেছে পুলিশ। উনা শহরের যুবকের ছোট ভাই ছাড়া এই পৃথিবীতে তার আর কেউ নেই। উত্তরাখণ্ডের যুবকের স্বজনরা বিষয়টি জানার পরই গোটা বিতর্ক সামনে এসেছে।
বন্ধুত্ব হয় দেড় বছর আগে
উল্লেখ্য, প্রায় দেড় বছর আগে উনা শহরের এক যুবকের সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধুত্ব হয় উত্তরাখণ্ডের যুবকের। আলাপ পরিচয় বাড়তে থাকে এবং দুজনেই প্রেমে পড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে দুজনেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন এবং প্রায় ছয় মাস আগে দিল্লির একটি মন্দিরে বিয়ে করেন। বলা হচ্ছে, চারদিন আগে উত্তরাখণ্ডের যুবক উনায় থাকতে এসেছিল, কিন্তু ছোট ভাইয়ের সন্দেহ হলেই বিষয়টি জানাজানি হয়। বিষয়টি নিয়ে সোমবার রাতে কিছু হৈচৈ হয় এবং উভয় যুবক পুলিশের কাছে পৌঁছায়। এর সঙ্গে কাউন্সিলররাও পুলিশ চৌকি উনায় পৌঁছান। যেখানে পুলিশ অন্য যুবকের স্বজনদের উনায় ডেকে নিয়ে যায়। ফাঁড়ির ইনচার্জ জগবীর সিং বলেন, দুই যুবক একসঙ্গে থাকার কথা বলছে। উত্তরাখণ্ডের যুবকের স্বজনদের ডাকা হয়েছে, তার পরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ঘটনায় কিছুটা চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে যদিও।