স্ত্রীর পেশা নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি। এর মধ্যেই রহস্যজকভাবে একটি জলার পাশ থেকে উদ্ধার যুবকের মুণ্ডহীন দেহ। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে হুগলিতে (Hooghly)। ঘটনার পেছনে রয়েছে যুবকের স্ত্রীর হাত! এমনটাই অভিযোগ যুবকের পরিবারের তরফে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে সংবাদ প্রতিদিন সূত্রে খবর।
সূত্রের খবর , শুভ্রজ্যোতি বোস নামের ওই মৃত যুবকের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ থানার অন্তর্গত পানিহাটির (Panihati) নেতাজি সুভাষ রোড এলাকায়। প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্য দের থেকে জানা গিয়েছে যে, পানিহাটি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে বাসিন্দা শুভজ্যোতি বসুর সঙ্গে বিয়ে হয় উত্তরপাড়ার বাসিন্দা পূজা রায়ের এই বছরের মার্চ মাসে। বিয়ের পর দিন কয়েকের মধ্যেই পূজা নিজের বাড়ি ফিরে যান শশুরবাড়ি থেকে। গত ১মে ওই যুবক তাঁর স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে যান শশুরবাড়িতে। আর তারপর থেকে ওই যুবকের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। এর মধ্যে ওই যুবক একদিন ফোন করে তাঁর অপহরণ হয়েছে যাওয়ার খবর দেয়। অবশ্য তারপর থেকে আর কোনও খবর পাওয়া যায়নি যুবকের। পরিবারের তরফে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজও নেওয়া হয় কিন্তু কোনও লাভ হয়নি তাতে। এদিকে হুগলি থেকে ২ মে মুণ্ডহীন এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। মাথা পাওয়া যায়নি বলে পুলিশের এই মৃতদেহর শনাক্ত করণে একেবারে নাজেহাল অবস্থা হয়ে গিয়েছে।
ঘটনার ২০ দিন পর শ্রীরামপুর থানা থেকে ফোন করে মৃতদেহ শনাক্ত করতে ডাকা হয় শুভ্রজ্যোতির পরিবার কে। তার ঘাড়ে করা একটি ট্যাটু দেখে তাকে চিনতে পারে পরিবারের লোক। এরপরই ঘটনার রহস্য উদ্ধারে নামে পুলিশ। গ্রেফতার হয় একজন? কিন্তু কেন এই ভাবে খুন? প্রাথমিক ভাবে যা জানা যাচ্ছে শুভজ্যোতির স্ত্রী পূজা পেশায় একজন কল গার্ল ছিলেন। বিয়ের আগে প্রেম করলেও বিষয়টা টের পাননি যুবক। বিয়ের পর দেখতেন মাঝে মাঝেই তাকে না জানিয়ে কোথাও চলে যাচ্ছেন স্ত্রী। এই থেকে বিষয়টা ফাঁস হয়। এরপরই শুরু হয় স্বামী স্ত্রীর অশান্তি। পরিবারের দাবী স্ত্রীকে ওই পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন যুবক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকেই জীবন থেকে সরে যেতে হলো।
তবে এ বিষয়ে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। সম্পূর্ন বিষয়টা পরিষ্কার হলে তবেই তারা স্টেটমেন্ট দেবেন।