মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে, সিগারেট খাওয়ার কারণে একাদশ শ্রেনীর এক ছাত্রী প্রাণ হারিয়েছে। না এখানে অবশ্য ব্যাপারটা এমন নয় যে স্বাস্থের উপর সিগারেটের হানিকারক প্রভাবের জন্য সে প্রাণ হারিয়েছে। আসলে ঘটনাটা কিছুটা এমন হয়েছিল যে একদিন এই মেয়েটি যখন সিগারেট খাচ্ছিল, তখনই কোচিংয়ের বন্ধুরা তাদের মোবাইলে তার ছবি তুলে নেয় করেছিল। এরপর শুরু হয় একই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার হুমকি। এই ভয়ে ওই ছাত্রী নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মামলার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, সিলিকন সিটি এলাকায় বসবাসকারী একটি মেয়ে শহরের একটি নামকরা বেসরকারি স্কুলে একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী ছিল। তার বাবা পেশায় একজন শিশুদের ডাক্তার এবং মা পার্শ্ববর্তী বারওয়ানি জেলার একজন নার্স।
সোমবার সন্ধ্যায় মেয়েটির বাবা-মা কোনো কাজে বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন। সেই সময়ে তারা যে বিল্ডিং এ থাকতো তার নিচের গ্রাউন্ডে খেলছিল মেয়েটির ছোট বোন (১০ বছর) ও ভাই (৪ বছর)। এ সময় মেয়েটি নিজের ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়ে। বাবা-মা ফিরে এসে দেখেন মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে। তবে ততক্ষণে প্রাণ হারিয়েছে মেয়েটি।
এইভাবে, জীবন শেষ করার আগে, শনিবার, ছাত্রীটি তার বাবাকে জানায় যে সে একদিন কোচিং থেকে ফেরার সময় তার বন্ধুদের সাথে সিগারেট খাচ্ছিল। সেই সময়ে কোচিং-এ পড়ুয়া দুই ছাত্র ও এক ছাত্রী মোবাইল থেকে তার ছবি তোলে।
এরপর তার ধূমপানের ছবি তার বাবা-মাকে পাঠাবে বলে ওই তিন সহপাঠী তাকে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে। তবে এ বিষয়ে মেয়েকে ক্ষমা করে দেন বাবা। কিন্তু ছাত্রীর ভয় ছিল বন্ধুরা তার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেবে। যার কারণে সে মানসিক চাপে পড়ে যাচ্ছিল। অবশেষে সে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলে।
রাজেন্দ্র নগর থানার তদন্তকারী আধিকারিক শ্যাম জোশী জানিয়েছেন, এই ঘটনায় পুলিশ পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য নিয়েছে এবং পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।