বেড়াতে এসেছিলো মাসির বাড়ি, কলকাতায় আর সেখানেই ঘটে গেলো এক মর্মান্তিক পরিণতি। এক কিশোর তাঁর মাসির বাড়ি ঘুরতে এসে সেই বহুতল বাড়িরই বারান্দা থেকে নীচে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল। জানা গিয়েছে ওই যুবকের বাড়ি বেলুড়ে। এখন কিভাবে ওই যুবক বহুতল থেকে পড়ে গেলো সেই নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
জী ২৪ ঘন্টার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ওই কিশোরের বাড়ি বেলুড়ের অভয় গুহ রোড এলাকায়। গত শুক্রবারদিন সে তাঁর মাসির বাড়ি ঘুরতে আসেন, তাঁর মাসির বাড়ি কলকাতার তোপসিয়া এলাকায়। পুলিশ সূত্রে ডন বসকো স্কুলের দশম শ্রেণির পড়ুয়া মৃত কিশোর আনন্দ উপাধ্যায়। শুক্রবার অর্থাৎ ঘটনার দিন ওই কিশোরের মাসির বাড়িতে আরও কিছু আত্মীয় উপস্থিত ছিলেন।
পরিবারের থেকে পুলিসকে জানানো হয়েছে, দুপুরের দিকে যখন খাওয়াদাওয়া মিটে যায় সবাই তখন হঠাৎ করেই খেয়াল করে দেখে যে সেখানে আনন্দ নেই। আর সে সময়েই তাঁর খোঁজ শুরু হয়। অবশেষে দেখা যায় যে সে ওই বহুতলের নীচে মাটিতে নিথর অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
মৃত কিশোরের এক মাসতুতো দাদা জানিয়েছেন, আনন্দ, তাঁর মা এবং ভাই শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ তাদের বাড়িতে আসে। ডুওরের খাওয়া দাওয়াও সারে সেখানে। তারপর সুইমিংও করতে যায় ওই এলাকায়। তারপর বিকেল বেলার দিকে, আনন্দ কে টিউশনি পড়া রয়েছে আর তাই তাঁকে বাড়ি ফেরার জন্য বলতে থাকে। আর সেই নিয়ে তুমুল অশান্তি হয় আনন্দ ও তাঁর মায়ের মধ্যে।
সে যেতে রাজি হয় একটা শর্তে যে তাঁকে উবের বুক করে দিতে হবে। আর তারপর ওই কথা বলে তাঁর মায়ের উপর রাগ দেখিয়ে পাশের ঘরে চলে যায়। ঘটনার সময় তাঁর মা এবং সেখানে বাকিরাও উপস্থিত ছিলেন। এরপর ২১ তলার কমন প্যাসেজ থেকে বিকেল ৫টা ৪০মিনিট নাগাদ, একটা খুব ভারী কিছু পড়ে যাওয়ার আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়। তখন আনন্দের রক্তাক্ত নিথর দেহ সেখানে পড়ে আছে দেখা যায়।
খবর পেয়ে টাংরা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। কিন্তু কীভাবে তোপসিয়ার ওই ২১তলার বারান্দা থেকে নীচে পড়ে গেল আনন্দ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে এই ঘটনায়। ওই আবাসন এলাকার সিসিটিভি থেকে প্রাপ্ত ফুটেজ তদন্তকারী আধিকারিকরা রীতিমত খুঁটিয়ে দেখছেলে। পাশাপাশি তদন্তকারী আধিকারিকরা ওই আবাসনের কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। লোহার ব্যবসায়ী আনন্দের বাবা। পরিবারের থেকে জানানো হয়েছে, আনন্দের প্রায় দেড় দুবছর আগে ব্রেন টিউমার অপারেশন হয়।