উত্তরপ্রদেশের কানপুরে ৭৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তি তার ছেলে ও পুত্রবধূকে গলা কেটে হত্যা করেছে। খুনের আসামির অবশ্য এমন অপরাধ করার জন্য কোনো অনুশোচনা নেই। বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে অভিযুক্তরা। আইপিএল ম্যাচ দেখে নিজেদের রুমে ঘুমিয়েছিলেন তাঁর ছেলে ও পুত্রবধূ। সেই সময় ছুরি দিয়ে গলা কেটে দুজনকেই নির্মমভাবে হত্যা করে ছেলেটির বাবা।
পুলিশ বলছে, অভিযুক্ত ব্যাক্তির বাড়িতে প্রতিদিনই ঝগড়া হতো। ওই বৃদ্ধ বলেছেন তিনি বুঝিয়ে বলতে পারবেন না, কিন্তু তিনি বাধ্য হয়েই এমনটি করেছেন। জানিয়ে রাখি, অভিযুক্তের ছেলে এক বছর আগে গণবিবাহ আসরে ওই তরুণীকে বিয়ে করে।
এক বছর আগে বিয়ের পর বৃদ্ধের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিয়েছিলেন ২৭ বছর বয়সী শিবম ও ২৫ বছরের জুলি, সেই ৭৪ বছর বয়সী বাবা দীপ কুমার তিওয়ারি দুজনকেই গলা কেটে হত্যা করলেন। ছেলে ও পুত্রবধূকে হত্যার পর দীপ তিওয়ারি প্রথমে অপরাধ আড়াল করার চেষ্টা করলেও কিছুক্ষণ পর অপরাধ স্বীকার করে নেন। অভিযুক্ত বলেন, দুজনেই যখন ঘুমাচ্ছিলেন, তখন তিনি ছুরি দিয়ে তাদের গলা কেটে ফেলেন। এমনটা তিনি করতে বাধ্য হয়েছিলেন। কারণ কি?
অভিযুক্ত দীপ তিওয়ারি তার ছেলে ও পুত্রবধূকে নিয়ে বাজারিয়ায় থাকতেন। এক বছর আগে শিবম ও জুলির প্রেম করে বিয়ে হয়। প্রথমে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও মাসখানেক পরেই টাকা পয়সা নিয়ে বাড়িতে ঝগড়া শুরু হয়। এ ছাড়া পারিবারিক আরও কিছু সমস্যা ছিল, সে বিষয়ে কাউকে জানাতে যদিও নারাজ আসামি। রাতে দুজনকে হত্যার পর আসামি জলের পাত্রে হাত ধুয়ে অন্য জায়গায় গিয়ে শুয়ে পড়ে।
ভোর পাঁচটার দিকে প্রতিবেশীরা পুলিশকে দুজনের খুনের খবর জানালে পুলিশও অবাক হয়, বাড়িতে ডাকাতি হয়নি, ঝগড়া হয়নি, তাহলে খুন কে করল। এরপর বৃদ্ধ বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ, তারপরই মুখ খুলতে থাকে তিনি। ডিসিপি পশ্চিম বিবি জিটিএস মূর্তি জানিয়েছেন, এই ডাবল খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাড়িতে অশান্তির জেরে ছেলে পুত্রবধূকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে আসামি। কানপুরের বাজারিয়া থানা এলাকায় দুই ঘণ্টার মধ্যেই দম্পতির খুনের ঘটনার রহস্য সমাধান করল পুলিশ।