১৯৯৭ সালের হলিউড ছবি টাইটানিকের কথা কার না মনে আছে। ছবিটি সারা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছিল। এই ছবিটি তরুণদের ভীষণ পছন্দের একটি সিনেমা ছিল। কারণ ছিল এই ছবির রোমান্টিক কাহিনী এবং রোমান্টিক দৃশ্য, যার মধ্যে একটি হল জাহাজের রেলিংয়ের সামনে একে অপরের সাথে হাতে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা প্রেমিক প্রেমিকা জ্যাক ও রোজের রোমান্টিক পোজ, যাকে বলা হয় ‘কিং অফ পোজ’। কিন্তু টাইটানিকের ভঙ্গিতে পোজ দিতে গিয়ে এক যুগলের যা হলো সেটি শুনলে শিউরে উঠতে হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে তুরস্কে। কোকেলির উত্তর-পশ্চিম প্রদেশের ইজমিট মেরিনা পিয়ারে, যেখানে ফুরকান সিফ্সি এবং মেইন দিনার নামক প্রেমিক প্রেমিকা সমুদ্রের তীরে টাইটানিকের এই রোমান্টিক পোজটি আবার নতুন করে নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দুজনেই হোঁচট খেয়ে সমুদ্রে গিয়ে পড়ে।
আসলে দম্পতি এই পোজ দেওয়ার আগে দম্পতি মাছ ধরার পাশাপাশি মদও পান করেছিল। তারপর যখন তারা দুজনে মিলে পোজ দিতে যায় সম্ভাব্য নেশার কারণে দুজনেই ভারসাম্য রক্ষা করতে পারেননি। আর সমুদ্রে পড়ে যান। আশেপাশের জেলেরা দম্পতিকে সাগরে পড়ে যেতে দেখে তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন। এক জেলে বান্ধবী মাইন দিনারকে বাঁচাতে সফল হলেও অনেক চেষ্টার পরও প্রেমিকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে জরুরি পরিষেবায় ফোন করতে হয়। ডুবুরিদের একটি দলও মোতায়েন করা হয়। ২ ঘণ্টা বহু খোঁজাখুঁজির পর ফুরকানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসার পর জ্ঞান ফেরার পর বান্ধবী মইন দিনার পুরো ঘটনা খুলে বলেন। শেষ মুহূর্তের সিসিটিভি ফুটেজে দম্পতিকে মাছ ধরতে ঘাটে চেয়ার পেতে বসতে দেখা গেছে। প্রেমিক দম্পতি টাইটানিকের রোমান্টিক দৃশ্যটি পুনরায় তৈরি করতে চেয়েছিলেন তবে দুর্ভাগ্যবশত তাদের সাথে সিনেমার শেষ ট্র্যাজেডি দৃশ্যটির পুনরাবৃত্তি হয়ে যায়। টাইটানিকের মতন প্রেমিকা প্রাণে বেঁচে গেলেও সাগরে ডুবে যায় প্রেমিক। ঘটনাটি ঘটে ১৫ এপ্রিল রাত ৯.১৫ মিনিটে। সোসাইটি সিনেমাকে প্রভাবিত করে। আর সিনেমা সোসাইটিকে প্রভাবিত করে। কিন্তু কখনও কখনও সিনেমা দ্বারা প্রভাবিত লোকেরা এমন কিছু করার চেষ্টা করে যা বিপত্তি ঘটায়। আসলে সিনেমার শুটিং কড়া নিরাপত্তার মধ্যে করা হয়। সেখানে নিজেরা ঝুঁকিপূর্ন সিনেমার মতন স্টান্ট করতে গেলে অনেক ক্ষেত্রেই বিপদ ঘটে।