করোনা মহামারীর যুদ্ধে গোটা বিশ্ব একটা সময় একসাথে লড়েছে। যদিও সেই যুদ্ধে অন্যান্য এগিয়ে থাকা দেশ গুলির মধ্যে ভারতের পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালোই। তেমন খুব একটা চিন্তায় থাকার মতো পরিস্থিতি তৈরী হয়নি ভারতে এ বছরের শুরুর থেকে। সম্প্রতি দিল্লির অবস্থা দেখে কিছুটা চিন্তায় পড়লেও, এখন তা বেশ নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে। বেশ কিছুদিন ধরে করোনার দৈনিক সংক্রমণ নিম্নমুখীই আছে। তবে যদিও কিছুটা হলেও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এদিন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে কোভিডের বলি ২৭ জন গত ২৪ ঘণ্টায়, যে সংখ্যাটা রবিবার ছিল ১৩। আর দেশে নতুন করে শেষ ২৪ঘন্টায় মহামারীতে আক্রান্ত হয়েছেন ২২০২। এই সংখ্যা রবিবার ছিল ২৪০০-র বেশি। অ্যাকটিভ কেসও কমেছে। সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৭,৩১৭ জন অ্য়াকটিভ রোগীর সংখ্যা। যা ০.০৪ শতাংশ মোট আক্রান্তের তুলনায়। সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট ০.৫৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে করোনার কবল থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৫৫০। দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা এ নিয়ে ৪,২৫,৮২,২৪৩। যা শতকরা হারে ৯৮.৭৪ শতাংশ। মোট ৫,২৪,২৪১ জন করোনায় মারা গেছেন। যা মোট আক্রান্তের ১.২২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের তথ্য থেকে জানাচ্ছে, দেশে ১৯১ কোটি ৩৭ লক্ষের বেশি ডোজ করোনার টিকা (Corona Vaccine) এখনও পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বয়স্কদের বুস্টার ডোজ ও কমবয়সিদের ডোজ দেওয়ার কাজ চলছে। এছাড়াও বাজারে ১৮ ঊর্ধ্বদের প্রিকশন ডোজও মিলছে। এই যুদ্ধের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার টিকাকরণই বলে দাবি করছে কেন্দ্র।
নতুন করে সবচেয়ে বেশি সংকটে উত্তর কোরিয়া (North Korea) করোনা ভাইরাসের দাপটে। এখানে মাত্র কয়েকদিনে সংক্রমণ ৮ লক্ষের বেশি পেরিয়ে গিয়েছে। কিম জং উন সে দেশের শাসক নিজে মাস্ক পরছেন। অত্যন্ত ধীরগতিতে মেডিক্যাল সরঞ্জামের সরবরাহ হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর কড়া নির্দেশ দেশের সেনাবাহিনীকে, দ্রুত ওষুধপত্র সরবরাহ করতে হবে।