একই বিয়ের মণ্ডপে ব্যাবস্থা করা হয়েছিল দুই বোনের বিয়ে। তখন বিয়ে চলছে পুরোদমে। মণ্ডপে হাজির দুই কনে, সাথে তাদের হবু বরও। পুরোহিত মন্ত্র পাঠ করছে। মালাবদল হবার ঠিক আগের মুহূর্তে হঠাৎ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অন্ধকার হয়ে যায় মন্ডপ আর তাতেই সূত্রপাত যত সমস্যার! বিয়ের মতন শুভ অনুষ্ঠান অন্ধকার হলেও পুরোহিত মন্ত্র পাঠ থামায়নি। দুই বোনও মালা বদল সেরে ফেলে। এরপরই দেখা যায় ঘটে গেছে এক কেলেঙ্কারি। বোনের হবু স্বামীর গলায় মালা দিয়ে দিয়েছেন বড় দিদি।
এমনই অদ্ভুত ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়ীনিতে। রবিবার, একই ছাদনাতলায় বিয়ে করতে বসেছিলেন দুই বোন বরফে রমেশলালের দুই মেয়ে, নিকিতা এবং করিশ্মা। ভোপালের ডাংওয়ারা এলাকার ভোলা ও গণেশ নামে দুই যুবকের সঙ্গে বিয়ে হচ্ছিল সেই দুই বোনের। দুই পাত্রী সম্পর্কে বোন হলেও পাত্র দুজন আলাদা আলাদা পরিবার থেকে ছিল। দুই বোনের বিয়ের সাজ পোশাক অনেকটা একই ধরনের ছিল। তাদের মুখ ঢাকা ছিল ঘোমটার আড়ালে। তাই আচমকা কারেন্ট অফ হওয়ার পর যখন ভুল পাত্রের সাথে মালা বদল হয়ে যায় তারপরের কিছুক্ষণ বুঝতে পারেনি তাদের পরিবারও আদতে কি ঘটে গেছে। মালা বদল, সাত পাকে ঘোরা সবই এভাবে ভুল পাত্রের সাথে সম্পন্ন হয়ে যায়। বিয়ের মন্ডপে যে পাত্র অদল বদল হয়ে গেছে সেটা বুঝতে পারা যায় তারপর।
এরপরে এই সমস্যা নিয়ে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। কি করা উচিত সেই নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বে পড়ে যায় উভয় পরিবার এবং পরিজনেরা। কিছু সময় পর অবশ্য আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সূত্র বার করে আনা হয়। ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে ফেলতে পরের দিন আবার রীতিনীতি মেনে সঠিক পাত্রের সাথে সঠিক পাত্রীর বিয়ে সমস্ত রীতিনীতি মেনে সম্পন্ন করানো হয়।