বারবার চতুর্থ ঢেউ নিয়ে চিন্তিত ছিল সকলে , তাঁর মাঝেই কিছুটা নিশ্চিন্ত হল দেশবাসী। গত কিছুদিন ধরেই দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার উর্দ্ধমুখী ছিল। পাশাপাশি চিন্তা ধরিয়ে ছিল মৃত্যুহারও। সপ্তাহের প্রথম দিন সেই ভয় কিছুটা হলেও কমলো । এর কারণ দেশের দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুহার নিম্নমুখী।
যদিও চিন্তায় রাখছে ওড়িশার একটি স্কুল। একসঙ্গে কোভিড (COVID-19)পজিটিভ ৬৪ জন পড়ুয়া । সে কারণে ওই স্কুল দ্রুত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অ্যাকটিভ কেসও সামান্য কমেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ৩২০৭ জন গত ২৪ ঘণ্টায়, রবিবার যা ছিল ৩৪০০-র বেশি। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। যা বেশ খানিকটা কম আগের দিনের তুলনায়। এ নিয়ে করোনার বলি দেশে মোট ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৩ জন।
দেশে করোনার কবল থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৪১০ জন। ৯৮.৭৪ শতাংশ সুস্থতার হার। অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা এই মুহূর্তে ২০,৪০৩, যা ২৩২ কম রবিবারের তুলনায়। অ্যাকটিভ রোগী মোট আক্রান্তের ০.০৫ শতাংশ এমনটাই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যানে জানা যাচ্ছে।
দেশে যে হারে করোনায় সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে চতুর্থ ঢেউ ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে। অবশ্য বিশেষজ্ঞরা এই প্রসঙ্গে আশ্বস্ত করেছেন যে, কোনও সম্ভাবনা নেই দেশে চতুর্থ ঢেউয়ের। সম্প্রতি ICMR-এর তরফে জানানো হয়েছে যে, ভয়ের কোনও কারণ এখনই নেই। দেশে চতুর্থ ঢেউ আসার এখনই সম্ভাবনা নেই। কোভিডের দাপট বাড়ছে স্থানীয় স্তরে সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্যই।