জার্মানি থেকে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে একজন মহিলাকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। মহিলা, তার সঙ্গীর কাছ থেকে লুকিয়ে, কনডম ছিদ্র করেছিলেন, যা তিনি জানতেন না। বর্তমানে এই অপরাধে যৌন শোষণ ও প্রতারণার অভিযোগে ওই মহিলাকে সাজা দিয়েছেন আদালত। খবরে বলা হয়েছে, এই প্রথম কোনো নারীকে এই কারণবশত শাস্তি দেওয়া হলো।
তথ্য অনুযায়ী, জার্মানির একটি আদালত ওই নারীকে যৌন নিপীড়নের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে। অভিযুক্ত মহিলা তার সঙ্গীকে অন্ধকারে রেখে তার অজান্তেই যৌন মিলনের আগে তার কনডম ছিদ্র করে রেখেছিল। বলা হচ্ছে, ওই নারী গর্ভবতী হওয়ার জন্য এই সব কিছু ঘটিয়েছেন। আদালত একে অপরাধী ‘স্টিলথিং (Stealthing)’ হিসাবে বিবেচনা করেছে।
জার্মানির সংবাদ ওয়েবসাইট ডিডব্লিউ (DW) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ইচ্ছাকৃতভাবে তার সঙ্গীর কনডম নষ্ট করার জন্য ওই মহিলাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাটি একজন ৩৯ বছর বয়সী মহিলার সাথে সম্পর্কিত যে ৪২ বছর বয়সী একজন পুরুষের সাথে নিয়মিত যৌন সংসর্গে ছিল। গত বছর একটি অনলাইন ডেটিং সাইটের মাধ্যমে দুজনের পরিচয় হয়, এরপর সেখান থেকে আলাপের পরে দুজনের মধ্যে যৌন সম্পর্ক শুরু হয়।
মহিলাটি আস্তে আস্তে তার সঙ্গীর প্রেমে পড়েছিল এবং তার জন্য তার ফিলিংস তৈরি হতে শুরু করেছিল, কিন্তু তিনি জানতেন যে তার পুরুষ সঙ্গীর কোনো সিরিয়াস সম্পর্কে থাকতে চায় না। ৩৯ বছর বয়সী মহিলা তখন গোপনে কনডমে একটি ছিদ্র করেন। তিনি তার সঙ্গীর সাথে গর্ভবতী হওয়ার আশায় এটি করেছিলেন এক রাতে। তবে, এই কাজে তিনি সফল হননি।
এমনটা করার পরে, মহিলাটি ভেবেছিলেন যে একটি দীর্ঘ মেয়াদী সিরিয়াস সম্পর্ক তৈরির জন্য তার সঙ্গীকে চাপ দেওয়া এর মাধ্যমে যথেষ্ট সহজ হবে। তবে তিনি তার পরিকল্পনায় সফল হতে পারেননি। শুধু তাই নয়, কয়েকদিন পর যখন তিনি অনুভব করলেন যে তিনি গর্ভবতী হবেন, তখন মহিলা নিজেই হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে সঙ্গী পুরুষকে জানান যে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে কনডম ছিদ্র করেছেন। এটা জানার পর লোকটি তার সঙ্গিনীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনে এবং মহিলা তার উপর কারসাজি করার চেষ্টা করেছিলেন এমন দাবি করেন। এরপর আদালত তাকে ‘স্টিলথিং’র দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন।
প্রকৃতপক্ষে, ‘স্টিলথিং’ হল যখন একজন পুরুষ তার সঙ্গীর অজান্তে গোপনে তার কনডম খুলে ফেলে। কিন্তু পশ্চিম জার্মানির বিলেফেল্ড শহরে এই ঘটনাকে ‘ঐতিহাসিক’ বলা হচ্ছে, কারণ প্রথমবারের মতো একজন মহিলাকে ‘স্টিলথিং’ করতে দেখলো কেউ।