বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আগে স্ত্রীর ছিল এক প্রেমিক। কিন্তু কোন কারণে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। স্বামী সবটাই জানতেন। জেনেশুনেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু স্ত্রীর পুরানো সম্পর্কের বিষয়টি জানতেন না সেটি হল স্ত্রী সেই প্রেমিকের সাথে ফোনে সেক্স চ্যাট করতেন। বিয়ের পর কোন ভাবে স্ত্রীর সেই পুরানো ঘনিষ্ঠ যৌন সঙ্গম সম্পর্কিত বার্তালাপ এর চ্যাট হাতে পরে স্বামীর। এরপর থেকেই মানসিক টানাপোড়েন এ ভুগছেন তিনি। স্ত্রীকে কি আদৌ বিশ্বাস করা যায়? প্রশ্ন স্বামীর!
সম্প্রতি এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ওই ব্যক্তি ইন্টারনেট ইউজারদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেখানেই তিনি তাঁর মনের ভেতরের দ্বিধাদ্বন্দ্বের কথা বলেছেন। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন হানিমুনে গিয়ে তিনি স্ত্রীর সেক্স চ্যাট হাতে পণ। এই নিয়ে স্ত্রী কে জিজ্ঞাসা করলে স্ত্রী বলে একসময় তার প্রাক্তন এর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল ঠিকই কিন্তু বিচ্ছেদের সাথে সাথে সেসব থেকে বেরিয়ে এসেছেন তিনি। কিন্তু তাও তাকে বিশ্বাস করতে পারছেন না স্বামী। তার প্রশ্ন জীবন থেকে মুছে ফেললে সেই চ্যাটটি তিনি রেখে দিয়েছেন কেন!
এই বিষয়ে বলতে গিয়ে স্ত্রীর বিষয়ে আরো কিছু খোলসা করেছেন ওই ব্যক্তি। বলেছেন বিয়ের আগে যে তিন-চারটি সম্পর্কে ছিল তার স্ত্রী সেই বিষয়ে তিনি জানতেন। স্ত্রী তাকে সবই বলেছিল। এবং এও জানিয়েছেন সেইসব প্রেমিকদের সাথে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা খুব বেশিদূর এগোয়নি। বড়জোর চুমু খাওয়া বা আলিঙ্গন এই অবধিই। এমন কি স্ত্রীর প্রাক্তনের সেক্স চ্যাট পড়তে গিয়ে তিনি জেনেছেন যে স্ত্রীর সেই প্রেমিক তাকে হোটেলে দেখা করার প্রস্তাব দিলেও তাত্যানা বলেছেন স্ত্রী। কিন্তু এত কিছুর পরও কেন স্ত্রী তাকে সেক্স চ্যাট এর ব্যাপারে জানাননি? এটাই বুঝে উঠতে পারছেন না স্বামী। এই বিষয়ে না জানিয়ে তাকে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, আস্থা হারিয়ে গেছে তার এমনটাই বলেছেন ঐ ব্যাক্তি।
কিন্তু তার মানসিক টানাপোড়েন এর প্রতি সহানুভূতি দেখাননি কোনও নেটিজনই। উল্টে তাকে অনেকে প্রশ্ন করেছে কিভাবে তিনি স্ত্রীর ফোন ঘেঁটে দেখেন? অতীত তো সবার থাকে! স্ত্রী তাকে জানিয়েছেনও। এর পরেও এত সন্দেহ। স্ত্রীর ফোনে তল্লাশি চালিয়ে তিনি নিজেই প্রথমে বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন। তাই ভুলটা তারই। অনেকে আবার বলেছেন এই বিষয়টি নিয়ে স্ত্রীর সাথে আলোচনা করতে। মনের অবিশ্বাস তাহলে মিটে যাবে। সম্পর্ক মজবুত হবে। আপনি কি মনে করেন? কমেন্টে জানান।