গভীর রাত। অকাতরে ঘুমোচ্ছিলেন স্বামী। হঠাৎই সেই সময় তার স্ত্রী কেটে দেন তার পুরুষাঙ্গ। শুধু তাই নয় সেই কাটা পুরুষাঙ্গ নিয়ে সেই রাতেই সোজা থানায় পৌঁছালেন ওই ব্যাক্তির দ্বিতীয় স্ত্রী। কি কারনে! জানুন পুরো বিষয়টা। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশ গাজিপুর শ্রীপুর উপজেলায়। আপাতত জখম অবস্থায় ওই ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রসঙ্গত বুকে ব্যথা অনুভব হওয়ায় সেই হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে তার স্ত্রীকে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, যে মহিলার বিরুদ্ধে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তিনি সম্পর্কে ওই ব্যক্তি মহম্মদ শরিফেরই দ্বিতীয় স্ত্রী। ঘটনায় প্রায় ৮ মাস আগে নিজের প্রথম স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ হয় মোঃ শরিফের। এরপরে তার সাথে বিয়ে হয় হনুফা বেগম নামক এক মহিলার। বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী চেয়ারম্যানবাড়ি মোড় এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়াটে হিসেবে থাকতেন। সম্ভবত দাম্পত্য কলহ থেকেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী।
শ্রীপুর থানায় কর্মরত এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, রাতে টহল দেওয়ার সময় থানা থেকে তার কাছে ফোন আসে। ফোনে আরেক পুলিশ আধিকারিক জানান যে গভীর রাতে এক মহিলা স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে থানায় হাজির হয়েছেন। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন যে স্বামীকে সেই অবস্থাতেই ঘরে তালা বন্ধ করে এসেছেন। খবর পেয়ে দ্রুত সেই বাড়ীতে পৌঁছার পেট্রোলিং পুলিশ। ঘরের দরজার তালা ভেঙ্গে উদ্ধার করা হয় ওই জখম ব্যক্তিকে। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় শহিদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে। এদিকে পুলিশের কাছে ধরা দেওয়ার পর বুকে ব্যথার সমস্যা নিয়ে একই হাসপাতালেই ভরতি আছে মহম্মদ শরিফকে আক্রমণ করে পুরুষাঙ্গ কেটে নেওয়া স্ত্রী হনুফা।
এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, সাংসারিক অশান্তির কারণেই সম্ভবত স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছেন হনুফা। এদিকে পুরুষাঙ্গ হারানো ব্যাক্তি মোহাম্মদ শরিফের পরিবারের সাথে মিডিয়া যোগাযোগ করলে তারা জানিয়েছে প্রথম স্ত্রী’কে তালাক দেওয়ার পর থেকে শরিফের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না। তার বাড়িতে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। সে যে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে বা কোথাও ভাড়া থাকছে সেই বিষয়েও পরিবার কিছু জানত না বলে দাবি করা হয়েছে।