চলচ্চিত্র এবং সিরিয়ালের চিত্রনাট্যে, আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন যে নায়ক বা নায়িকা মৃত্যুর কয়েক বছর পরেও জীবিত হয়ে ফিরে আসেন। কিন্তু বাস্তবে কি এমনটা হয়। আর যদি কখনো এমনটা হয় তাহলে সেই দৃশ্য দেখে যে কারো পিলে চমকাতে বাধ্য। কিন্তু এমনটা বাস্তবে হয়েছে যা দেখে সকলে হতবাক। সম্প্রতি পেরু থেকে এমনই এক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। আসুন জেনে নিই পুরো বিষয়টি কি।
জানা গেছে পেরুতে দুর্ঘটনায় নিহত এক মহিলাকে অন্তিম শয়ানে শোয়ানোর প্রস্তুতি চলছিল। আসলে তার গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে ধাক্কা মেরেছিল। ধ্বংসপ্রাপ্ত গাড়িটি থেকে কোনও রকমে উদ্ধার করে আনা হয়েছিল দেহ। কিন্তু তার শরীরে প্রাণের স্পন্দন পাওয়া যায়নি তাই চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তারই শেষকৃত্যের প্রস্তুতি চলছিল। শোকে সেখানে উপস্থিত সকলেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কিন্তু তখন কফিনের ভিতর থেকে ধাক্কা মারার শব্দ আসে এবং মৃত মহিলাটি নিজেই তা খুলতে বলেন। বলাই বাহুল্য উপস্থিত সকলে কথা বলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেরুতে বসবাসকারী এই মহিলার নাম রোজা ইসাবেল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহিলাকে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল যাতে তার জামাইবাবুও প্রাণ হারান এবং তার তিন বোনপো গুরুতর আহত হন। ঘটনাটি ঘটেছে ওই এলাকার চিক্লায়ো-পিক্সি রোডে। এর পরে, শেষকৃত্যের আগে মহিলার দেহ একটি কফিনে রাখা হয়েছিল। শবযাত্রা শুরু হলে লোকজন কফিনের ভেতর থেকে অদ্ভুত আওয়াজ শুনতে পান। কফিন নামিয়ে ঢাকনা খুলে দেখা যায় তাকিয়ে রয়েছেন রোজা। ঘামে ভিজে গিয়েছে তাঁর সারা শরীর।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এরপরই সেই অবস্থাতেই রোজা কে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন তারা। সেখানে চিকিৎসকরা রোজাকে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রেখেছিলেন, কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরেই তিনি মারা যান। এখন কেন তাকে আগে মৃত ঘোষণা করা হলো সে বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে জবাব চাইছে রোজার পরিবার। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্ঘটনার পর রোজা নিশ্চয়ই কোমায় পড়েছিলেন, যে কারণে চিকিৎসকরা ভেবেছিলেন তিনি মারা গেছেন। কিন্তু কফিনের ভেতর দমবন্ধকর পরিস্থিতিতে কোনভাবে কোমা থেকে ফিরে আসে সে। কিন্তু তার জীবনকাল বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। পেরুর পুলিশ বর্তমানে ঘটনার তদন্ত করছে।