উরফি জাভেদ অত্যন্ত বোল্ড পোশাক পরার জন্য ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিত। তিনি চন্দ্র নন্দিনী, সাত ফেরো কি হেরা ফেরি, এবং বেপান্নাহর মতো শোতে কাজ করেছেন। এর পাশাপাশি উরফি জাভেদও বিগ বস ওটিটিতে অংশ নিয়েছেন। কিন্তু অনেকেই জানে না তার কৈশোর এর একটি ঘটনা। একটি সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় উরফি জাভেদ জানিয়েছেন যে যখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর সেই সময় একবার কেউ বা কারা তার ছবি পর্ন সাইটে আপলোড করে দেয়। এবং এই ঘটনার পরে সে কাউকে পাশে পায়নি, এমনকি পরিবারকেও না।
উরফি জাভেদ নিজের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে বলেছেন যে একটি অল্পবয়সী মেয়ে হওয়ায় তিনি সেই সময় এটি নিয়ে খুব বিব্রত ছিলেন। একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাত্কারে, উরফি জাভেদ জানিয়েছেন যে একটি পর্ন সাইটে তার একটি ছবি পোস্ট যখন পোস্ট হয়ে যায় সেই সময় তার বয়স ছিল ১৫ বছর, এবং এই ঘটনার পর সে তার পরিবার এবং শহরের অন্যান্যদের দ্বারা প্রকাশ্যে অপমানিত হয়েছিল। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ঘটনাটি লখনউয়ের।
উরফি তখন সবে কিশোরী বয়সে পা দিয়েছেন। তৎকালীন লখনউও ছিল অনেকটাই রক্ষণশীল। মেয়েদের সাধারণ জিন্স-টপ পরাও দেখা যেত না। উরফির শখ হয়েছিল কাঁধখোলা একটি টিউব টপ পরার!
আরজে আনমোল এবং অমৃতা রাও-এর সাথে কথা বলার সময় বলেছিলেন, “আমি একটি অফ-শোল্ডার টপ পরেছিলাম। আমরা লখনউতে এই ধরনের পোশাক পরিনি, তাই আমি নিজের মতো করে কেটে ড্রেস বানিয়ে নিয়েছিলাম। আমি সেই ছবি ফেসবুকে আপলোড করেছি এবং কেউ একজন সেখান থেকে নিয়ে পর্ণ সাইটে আপলোড করেছে।
উরফি জাভেদ বলেন, “সেটি একটি টিউব টপ ছিল যাতে খারাপ কিছু ছিল না। কিন্তু মানুষ সত্যিই আমাকে বিব্রত করতে। পুরো শহর এমনকি আমার পরিবারও আমার চরিত্রের দিকে কাদা ছিটিয়েছিল। সবাই বলছিল তুমি যা পড়েছো তাতে এমনটাই হবে, সবই তোমার দোষ। একটা মেয়ে হয়ে কিভাবে তুমি এইটা পড়তে পারো এবং তারপর ফেসবুকে আপলোড করার সাহস হলো কিভাবে।
উরফি জাভেদ স্বীকার করেছেন যে তিনি তখন এই ঘটনাটি সামলাতে পারেননি। আরজে আনমোল এবং অমৃতা রাও যখন উরফিকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তিনি কীভাবে বিষয়টি সামলে ওঠেন, তখন অভিনেত্রী বলেছিল,”যখন আপনি সমস্যায় পড়েন তখন আপনি বুঝতে পারেন আপনি কতটা শক্তিশালী। মনে মনে বহুবার মরার কথা ভেবেছি, কিন্তু মরার সাহস ছিল না, তাই লড়েছি। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে তখনই বোঝা যায়, কার মনের জোর কতোটা বেশী। সেই ভাবে সেই সব ঘটনাই আজকের সাহসী উরফির জন্ম দিয়েছে!