একে অপরকে খুন করলেন স্বামী স্ত্রী! ছুরি দিয়ে ক্রমাগত আঘাতে খুন হন দুজনেই! ছুরি দিয়ে সটান স্ত্রীর গলায় বসিয়ে দেন স্বামী। পাল্টা ওনার স্ত্রী নিজের স্বামীর পেটে ছুরি গেঁথে দেন। সেই মুহূর্তে ঐ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় স্ত্রীর । স্বামী গুরুতরভাবে জখম হন পরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন । এই ভয়ানক ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট এলাকায়।
জী ২৪ ঘন্টায় এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে , ঘটনায় মৃত্যু ওই দম্পতির নাম শম্পা মান্না ও শঙ্কর মান্না। শঙ্করবাবু শ্বশুরবাড়িতেই ঘর জামাই হিসেবে থাকতেন । ওই দম্পতির মধ্যে এই কারণেই অশান্তি লেগেই থাকত । অন্যদের ওপর একটি মেয়ে এবং একটি ছেলে অর্থাৎ দুই সন্তান । পরিবারের সদস্যদের থেকে জানা গেছে ওনাদের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। কিন্তু এই অশান্তি এদিনকে তুমুল আকার নেয়। বচসা শুরু হতেই সেই সময় এই রক্তারক্তি কান্ড ঘটে যায় । এক কথা দুকথায় কত কথা কাটাকাটির পর্যায় চলে যায় আর তারপরই রান্নাঘরের থেকে ছুরি নিয়ে আঘাত করা শুরু হয় । শঙ্করবাবু চুড়ি হাতে নেওয়ার সাথে সাথেই শম্পা দেবীর গলায় চালিয়ে দেন । তখনই শম্পা দেবী স্বামীর পেটে ছুরি চালিয়ে দেন ।
রক্ত মাখামাখি অবস্থায় দুজনেই মাটিতে পড়ে ছিলেন । ওনাদের আর্তনাদ শুনে প্রতিবেশীরা ঘরে ঢুকে আসে। তারা এসে দেখেন ঘরে রক্তারক্তি কাণ্ড আর ওনাদের নিয়ে অতিসত্বর তমলুক মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও চিকিৎসকরা এমনটাই জানিয়েছেন যে ওনার স্ত্রীর বাড়িতেই মৃত্যু হয়েছিল । শংকর মান্না যখন টের পান যে উনার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে তখন তিনি নিজে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন । শংকর বাবুকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । পরবর্তীতে সেখানেই তার মৃত্যু হয় । এই ঘটনা নিয়ে ওই এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে । কোলাঘাট থানার পুলিশ তড়িঘড়ি তদন্তে নেমে পড়েন এবং এই খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরি সহ আরও অনেক কিছু সেখান থেকে উদ্ধার করেন।