ছেলের চাই একটা বাইক। আবদার করতে থাকে সে বাবার কাছে। আর্থিক সামর্থ্য না থাকা সত্ত্বেও ছেলের আবদার মেটাতে শেষ পর্যন্ত যে কাজ করলেন বাবা তা যেন হার মানায় সিনেমার চিত্রনাট্যকে। ছেলের বায়না মেটাতে শেষ পর্যন্ত জেলে যেতে হলো বাবা কে।
পুলিশ সূত্রে অনুযায়ী, বাইক কেনার টাকা জোগাড় করতে পকেটমারির ‘কাহিনী’ তৈরী করে অফিসের মালিকের আড়াই লক্ষ টাকা হাতসাফাই করেন ওই ব্যক্তি। যদিও পুলিশের এই পকেটমারির গল্পে প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল কেননা ব্যাগ কাটার ধরন ছিল সন্দেহজনক। সুবোধ সিং নামে ওই ব্যক্তিকে অ্যারেস্ট করতেই উদ্ধার করা যায় পুরো টাকাটাই। কলকাতার ব্যস্ত জায়গা বড়বাজারে ঘটেছে এই ঘটনাটি।
ঘটনাটি ঘটেছে বড় বাজারে। এক ব্যবসায়ী তার কর্মচারীকে টাকা আনতে পাঠিয়েছিলেন। সে কর্মচারীর নাম সুবোধ । সোমবার দিন যখন সুবোদ বাবুর টাকা নিয়ে ফিরে আসার কথা, অফিসে ফিরে আসার পর জানান যে , যখন তিনি মল্লিক স্ত্রীর ধরে আসছিলেন তখন কোন পকেটমার তার টাকার ব্যাগ কেটে টাকা চুরি করে নেয়, সেই ব্যাগে ছিল আড়াই লক্ষ টাকা। অতিসত্বর বড়বাজার থানা এই ব্যাপারে অভিযোগ জানানো হয় । পুলিশ তদন্তের খাতিরে ওই কাটা ব্যাগটি পরীক্ষা করে । সাধারণত পকেটমাররা যেভাবে ব্যাক কাটে তার সাথে এই ব্যাগ কাটার চিহ্নের পার্থক্য রয়েছে। আর তখনই পুলিশ আধিকারিকদের সন্দেহ হয় । তড়িঘড়ি তোরা মল্লিক স্ট্রিটে পৌঁছায় এবং আশেপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজও চেক করে । যদিও কোথাও পকেটমাররা ছিনতাই এর চিহ্নমাত্র পাওয়া যায়নি ।
আর তারপরই সুবোধ বাবুকে পুলিশ আধিকারিকরা জেরা করতে শুরু করে । সুবোদ বাবুর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী যে রাস্তা দিয়ে তিনি যাওয়া-আসা করেছেন সেই রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ চেক করা হয় । তখনই মহাত্মা গান্ধী রোড এর একটি সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে দেখা যায় যে সুবোদ বাবু তার পরিচিত কাউকে সেই ব্যক্তিকে টাকা বার করে দিচ্ছে । তারপরই শুরু হয় একটানা জেরা পুলিশের তরফ থেকে। জেরায় চাপে পড়ে সুব্রতবাবু স্বীকার করেন যে ওই টাকা তিনি নিয়েছেন, তার ছেলেকে বাইক কিনে দেবার জন্য ওই টাকা নিয়ে তিনি তাঁর এক আত্মীয়কে দেন । আত্মীয় সুবোদ বাবুর বাড়িতে গিয়ে টাকা রেখে আসেন । এই তথ্য ধরে পুলিশ সুবোদ বাবুর বাড়িতে গিয়ে আড়াই লক্ষ টাকা উদ্ধার করে । এখনো ধৃত সুবোধ বাবুকে জেরা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।