Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

কুয়োর জলের রঙ টকটকে লাল, তীব্র পচা গন্ধ! কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে চোখ কপালে

এক ব্যক্তির খুন হয়েছে ত্রিকোণ প্রেমের কারণে। ওই ব্যক্তির স্ত্রীয়ের প্রেমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে এই খুনের মামলায়। ওই ধৃত যুবক সাংবাদিকদের সামনে কিন্তু স্বীকার করেছেন খুনের কথা অথচ তিনি উল্টে দাবি করেছেন তিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন টাকা পয়সা নিয়ে ঝামেলার জেরে। ধনেখালি থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই স্বতপ্রণোদিত খুনের তদন্ত শুরু করেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় খুন হয়ে যাওয়া ব্যক্তির পরিবারের তরফ থেকে কোনো রকম অভিযোগ পুলিশের কাছে আসেনি । গত 29 এপ্রিলের এই ঘটনায়, এক ব্যক্তির বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয় ধনেখালির ভাণ্ডারহাটি-১ গ্রামপঞ্চায়েতের দেউলপাড়ার একটি কুয়ো থেকে। সেখানকার স্থানীয়দের তরফ থেকেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয় । পুলিশ দেহ উদ্ধারের পর অতিসত্বর তদন্তে নামে । আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ করে পুলিশ এবং জানতে পারে ওই জেলারই জাঙ্গিপাড়া থানার মহেশপুর গ্রামের বছর ছেচল্লিশের এক ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছেন । তার বাড়িতে খবর দেয়া হলে তার স্ত্রী ছবি দেখে সনাক্ত করেন । এমনটাই অভিযোগ যে তারপর পুলিশের ওই স্ত্রীকে করা জেরায় আরও তথ্য উঠে আসে  ।

বছর 17 আগে হরিপালের এক যুবতীর সাথে  জাঙ্গিপাড়ার মহেশপুরের ওই ব্যক্তির বিয়ে হয়েছিল। পুত্র আছে তাদের । পুলিশ ধৃত ও নিহতের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে,ওই যুবতীর দিদির বাড়ি ভাণ্ডারহাটি দেউলপাড়ায় । মাঝেমধ্যেই বোন দিদির বাড়ি যেতেন । বছর সাঁইত্রিশ এর ওই ধৃত যুবকের সাথে এই যাতায়াতের মধ্যেই দেখা হতো আর সেই থেকেই পরিচয় । পুলিশ জানতে পেরেছে যে বছর সাতেকের সম্পর্ক ছিল তাদের মধ্যে ।

ওই যুবতী স্বামীর সঙ্গে গত ২৮ এপ্রিল ধনেখালিতে ডাক্তার দেখাতে আসেন। স্ত্রীর ‘প্রেমিক’-এর সঙ্গেও সেখানে ওই ব্যক্তির দেখা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবতীর স্বামীরও শ্যালিকার পড়শি যুবকের সঙ্গে ভালই সম্পর্ক ছিল।  এমনকি সেদিন একসঙ্গে মদ্যপান করেন তারা । আর তারপরই হাতুড়ি দিয়ে ক্রমাগত আঘাত করার পর তার দিয়ে গলায় পেচিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ । দেহটি বস্তাবন্দি করা হয় প্রথমে। অভিযুক্তের বাড়ি থেকে পরে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে একটি কুয়োতে তা ফেলে দেওয়া হয়।

এদিকে যাঁর বাড়ির কুয়ো, ২৯ তারিখ সেই ব্যক্তি জল তুলতে গিয়ে দেখেন জলের রং লাল। গলা পচা গন্ধ বেরোচ্ছে। এরপরই একটি বস্তা দেখেন। ধনেখালি থানায় পুলিশের কাছে খবর পাঠানো হয় । বস্তাটি পুলিশ এসে উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, একাধিক আঘাতের চিহ্ন মেলে মৃতদেহে। গলায় দাগ, মাথায় আঘাতের চিন্হ পাওয়া গেছে। পুলিশের অনুমান ছিল, ওই ব্যক্তিকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলা হয়েছে। তারপর কুয়োয় মৃতদেহ ফেলে দেওয়া হয়। এরপরই জাঙ্গিপাড়ার ঠিকানা মেলে পরিচয় খুঁজতে গিয়ে।

জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয় ওই ব্যক্তির স্ত্রীকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে জেরাতেই ‘প্রেমিক’ যুবকের নাম উঠে আসে। ওই যুবককে শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার দিন তাকে চুঁচুড়া আদালতে তোলা হয় । শুরুতে ওই যুবক জানিয়েছেন, এই ঘটনা টাকা পয়সা নিয়ে বচসার কারণে। তবে পুলিশের সন্দেহ ওই ব্যক্তির স্ত্রীরও এতে যোগ রয়েছে। তদন্তকারীরা দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান। কললিস্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে দু’জনের ফোনের।

Related posts

আবারও একলাফে প্রায় ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেল করোনা দৈনিক সংক্রমণ, বাড়ল মৃত্যুও

News Desk

যদি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত অক্সিজেনের মাত্রা দ্বিগুণ হয়ে যায় তাহলে কি হবে জানেন? শুনলে চমকে উঠবেন!

News Desk

ঠাকুরের আসনে প্রতিষ্ঠিত করেই চলেছেন একের পর এক দেব দেবী! ভুল করছেন না তো

News Desk