দীর্ঘজীবী হতে সকলেই চান। কিন্তু মানুষ তো নশ্বর। কালের স্বাভাবিক নিয়মেই তারা একদিন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। কিন্তু মানুষের সাধারণ আয়ুর থেকে অনেক বেশি বাঁচেন যারা তাদের নিয়ে কৌতুহল বরাবরের। এবার নিজের ‘দীর্ঘজীবী হওয়ার গোপন রহস্য’ সকলের সামনে তুলে ধরলেন ফ্রান্সের এক সন্ন্যাসিনী সিস্টার আন্দ্রে যাঁর এখন বয়স ১১৮ বছর। Guinness World Records অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দাড়িয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত ব্যক্তি তিনিই। এর আগে তিনি ইউরোপের সবচেয়ে প্রবীনা মহিলা ছিলেন। কিন্তু, জাপানের সবচেয়ে বয়স্ক মহিলা Kane Tanaka-র মারা যাওয়ার পর বর্তমানে সিস্টার আন্দ্রেই নথি অনুযায়ী পৃথিবীর সব চেয়ে বয়স্ক জীবিত ব্যক্তি (Oldest Person In The World)।
Guinness World Records -এর নথিবদ্ধ তথ্য অনুযায়ী, সিস্টার আন্দ্রে ১৯০৪ সালে ১১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেছেন। প্রথম জীবনে তিনি বাচ্চাদের দেখাশুনা করতেন। পরবর্তী সময়ে তিনি সন্ন্যাসিনীর জীবন বেছে নেন। নিজের সুদীর্ঘ জীবনকালে বহু জিনিস দেখেছেন তিনি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মারণ রূপ হোক বা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা সবই দেখেছেন তিনি। দেখেছেন ১০০ বছর আগের একটি মহামারী যা করোনার মতই পৃথিবীকে তছনছ করেছিল। আবার জীবিত অবস্থায় প্রত্যক্ষ করলেন আরেকটি মহামারীও। এতো যুগের সাক্ষী তিনি।
কিন্তু তাঁর দীর্ঘায়ু হওয়ার নেপথ্যে কি কিছু গোপন সিক্রেট আছে? সম্প্রতি নিজের দীর্ঘ আয়ুর রহস্য নিজেই জানিয়েছেন সিস্টার আন্দ্রে। গত ১২ বছর ধরে Toulon এক একটি নার্সিং হোমে বসবাস করছেন তিনি। আন্দ্রে জানান যে, তার ডায়েটে রোজ থাকে এক টুকরো চকোলেট এবং এক গ্লাস ওয়াইন। সিস্টারের মতে এটিই কারণ তার দীর্ঘ সময় বেচে থাকার।
উল্লেখ্য, সিস্টার আন্দ্রের আগে যে পৃথিবীর সর্বাধিক দীর্ঘায়ুর মহিলা ছিলেন সেই কানে তানাকা নামক জাপানের এক সন্ন্যাসিনী ১১৯ বছর বেঁচেছিলেন। তানাকা ১৯০৩ সালে ২ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০২২ সালের ১৯ এপ্রিল তাঁর মৃত্যু হয়। তারপর সিস্টার আন্দ্রেই এই জায়গায় আছেন।