Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

বন্ধুর ফোন নিয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা বলছিল আরেক বন্ধু! সেই নিয়ে রাগ করায় ঘটে গেল মারাত্মক কান্ড

বন্ধুর মাথায় পাথর মেরে বন্ধুকে খুন করার গুরুতর অভিযোগ উঠলো আরেক বন্ধুর বিরুদ্ধে। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের পেছনে যে কারণ বেরিয়ে এসেছে তা সবাইকে চমকে দিয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করলেও ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর এলাকায় অদ্ভুত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

মহারাষ্ট্রের থানে জেলার বদলাপুরের একটি নির্জন জায়গায় ২৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়া যাওয়ার পর পুরো এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। মৃতদেহের মাথা পাথর দিয়ে পিষে দেওয়া হয়েছে। মৃতের নাম প্রসাদ জিঞ্জুরকে। আর আসামি হিসেবে পুলিশ যে ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে তার নাম শামসুল হক গোলাম করিম বলে জানা গেছে।

জানা গিয়েছে, বদলপুরের পূর্ব সাপেগাঁও এলাকার পোদ্দার সোসাইটিতে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন প্রসাদ। শামসুল গোলাম করিমও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সেই সোসাইটিতেই থাকতেন। সোসাইটিতে প্রতিবেশী হওয়ায় প্রসাদ ও শামসুলের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। দুজনেই একই সঙ্গে চিত্রশিল্পীর কাজও করতেন।

বিষয়টি রোববারের বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত প্রসাদ দিনের বেলায় বন্ধু শামসুলের মোবাইলে দীর্ঘক্ষণ কথা বললে শামসুল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তাঁকে ফোন রাখতে বলে। প্রসাদ ফোনে কথা বলা বন্ধ না করলে শামসুল তাকে গালিগালাজ করতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই এই নিয়ে দুজনের মধ্যে তুমুল ঝগড়া শুরু হয়। এই ঝগড়ার কারণে দুজনেই রাগ করে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার রাতে শামসুল মদের পার্টি করার অজুহাতে প্রসাদকে সঙ্গে নিয়ে যায় এবং এরপর আর প্রসাদ বাড়ি ফেরেনি। শামসুলও নিখোঁজ ছিল। এরপর চামতৌলি গ্রামের ব্রিজের কাছে মাটিতে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ কে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিক তদন্তের পর মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।পুলিশ প্রথমে অজ্ঞাত খুনীর নামে মামলা দায়ের করলেও পরে পুলিশ তাদের বিষয়ে জানতে পারে যে গতরাতে দুই ব্যক্তি সোসাইটি ছেড়ে চলে গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারা প্রসাদ ও সামসুল। এরপর শামসুলের খোঁজে তল্লাশি জোরদার করে পুলিশ।

পুলিশি খোঁজ করছে দেখে শামসুল অন্ধ্রপ্রদেশে পালিয়ে যায়। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বদলাপুর পুলিশের দলও শামসুলের পেছনে অন্ধ্রপ্রদেশে পৌঁছে যায়। কিন্তু সেখানে পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে কল্যাণে ফিরে আসেন শামসুল। কিন্তু এখানেই পুলিশের পাতা ফাঁদে পড়েন তিনি।

পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর শামসুল তার করা হত্যার আসল কারণ সামনে জানায়। কথা বলা কে কেন্দ্র করে রাগারাগি এবং তার পরের দুজনের মধ্যে ঝগড়া এই খুনের কারণ। আসলে, সামসুল তার ফোন নিয়ে কথোপকথনের জন্য বেশ ক্ষিপ্ত ছিল এবং মারামারির সময়, প্রসাদ রাগ করে এমন কিছু বলেছিল যে শামসুল তাকে একটি শিক্ষা দিতে চেয়েছিল। আর রাতে দুজনেই মদের নেশায় মত্ত অবস্থায় একই মাঠে পড়ে থাকার সময় পাথর দিয়ে শামসুল প্রসাদের মাথা পিষে তাঁকে খুন করে ফেলে।

Related posts

২৪শে ডিসেম্বর: অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিন এবং যা কিছু এই দিনকে স্মরণীয় করে রেখেছে

News Desk

বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে পড়ে গেল প্রৌঢ়, বাঁচাতে দৌড়ে এলো বড় ছেলে! পরিবার সাক্ষী মর্মান্তিক দৃশ্যের

News Desk

গুগল নিয়ে এলো পে টোকেন : এখন থেকে SBI-সহ একাধিক ব্যাঙ্কের ‘কার্ড-হোল্ডার’রা পাবেন এই সুবিধা

dainikaccess