যখন কোনো দম্পতি সন্তানের প্রত্যাশা করেন এবং স্ত্রী গর্ভবতী হন সেই সময়টা যে কোনো পুরুষের জন্য ভীষণ স্পেশাল। বলা যায় হবু বাবা মায়ের জন্য এ এক আবেগঘন মুহূর্ত। সাধারণত যে কোন মহিলা প্রথমে বুঝতে পারে সে গর্ভবতী কিনা এবং তার স্বামীকে বিষয়টি জানায়। কিন্তু আজ এই প্রতিবেদনে এমন এক মহিলার কথা বলব যে নিজের গর্ভবতী হওয়ার খবর সম্পূর্ণ চেপে গিয়েছিলো তার স্বামীর কাছে। না, অন্য কোন কারণে নয় আসলে তার কিছু বিশেষ পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এর জন্য তাকে যে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয় তা হয়তো তিনি স্বপ্নেও কল্পনা করেন নি।
জানা গিয়েছে ওই মহিলা বাড়িতে প্রেগনেনসি কিটের সাহায্যে পরীক্ষা করে দেখে ছিলেন যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন কিনা। প্রেগন্যান্সি কিটে পজিটিভ রেজাল্ট দেখে জানতে পারেন যে তিনি গর্ভবতী। কিন্তু তখনকার মতন খবরটি সে চেপে যায় তার স্বামীর কাছে। কেননা তিনি ভেবেছিলেন সামনেই স্বামীর জন্মদিন। সেই দিন তাঁকে এই খুশির খবরটা দিয়ে তার আনন্দ দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা করেন মহিলা। কিন্তু তাঁর এই পরিকল্পনা তার জন্য বেশ বিব্রতকর একটা অবস্থার সৃষ্টি করে। কিভাবে? জানুন।
আসলে পরীক্ষা করার পর প্রেগনেনসি টেস্ট কিট কিচেনের ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছিলেন মহিলা। কোনো ভাবে সেই টেস্ট কিট চোখে পড়ে যায় তাঁর স্বামীর। কিন্তু সে বুঝে পায়না স্ত্রী তাকে কেন এটা জানায়নি। তার মনে অন্যকথা দানা বাঁধতে থাকে। তখনকার মতন অবশ্য সেই স্ত্রীকে কিছু বলে না।
এরপর একদিন, শপিংমলে স্ত্রীর সামনে নিজের আবেগ লুকিয়ে রাখতে না পেরে কেঁদে ফেলেন ওই ভদ্রলোক। কাঁদতে কাঁদতে বাথরুম এ চলে যান। কিছুটা সামলানোর পর স্বামী তাকে জিজ্ঞাসা করে শুনে হতবাক মহিলা। লোকটি তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেন দুই সন্তানের বাবা আদৌ তিনি কিনা। এভাবে লুকোনোর কারণ কি? শুনে হতবাক হয়ে যান মহিলা। এরপর স্বামীকে তাঁর সমস্ত পরিকল্পনা খুলে বলেন মহিলা। তিনি জানান, ২ এপ্রিল অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়ে জানেন তিনি। কিন্তু অপেক্ষা করে কিছুদিন পর ২৫ এপ্রিল স্বামীর জন্মদিনে খুশির খবরটা দিতে চেয়েছিলেন, তাই খবরটা জানাননি। সব ভালো যার শেষ ভালো। স্বামী বুঝতে পেরেছেন এবং ভীষণ খুশি। সারপ্রাইজ দিতে গিয়ে উল্টে বিপাকে পড়ে গল্প সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন মহিলা।