একটি শরীরে দুটি মাথা। আশ্চর্যজনকভাবে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে দু’টো মাথা নিয়েই জন্ম নিয়েছে এক নবজাতক। জন্ম দিয়েছেন তাহেরা বিবি নামে এক মহিলা। সদ্যোজাত এই শিশুকে নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে গিয়েছে ধুলিয়ান অনুপনগর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। খবরটি প্রকাশিত হয়েছে সংবাদ প্রতিদিনে।
ওই গৃহবধূর বাড়ি সামশেরগঞ্জের লক্ষ্মীনগরে। স্বামী মনিরুল ইসলাম তাঁর স্ত্রীয়ের প্রসব যন্ত্রনা বাড়তে থাকতে দেখে তাঁকে ধুলিয়ান অনুপনগর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভরতি করান। যখন সদ্যজাত শিশুটিকে দেখেন তখন দেখতে পান যে তাঁর দুটি মাথা। এই শিশুটি মণিরুল-তাহেরার চার নম্বর সন্তান। এই সন্তানের দুটি মাথা থাকার কারণ জিজ্ঞেস করলে চিকিৎসরা জানান, ডাক্তারি পরিভাষায় এটি কে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বলা হয়। এটি একটি রোগ আর এই রোগের নাম ‘অক্সিবিটার মেনিনজিও’।
তাহেরা বিবির স্বামী মনিরুল ইসলাম বলেন যে তিনি , অদ্ভূত দেখতে এই সন্তানের জন্ম হওয়া দেখে হতবাক হয়ে যান রীতিমতো। তারিফ হোসেন অনুপ নগর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের BMOH জানিয়েছেন যে, “ ওঁরা হাসপাতাল এসেছিলেন বাড়ি ফেরত যাওয়ার পরও। এক ধরনের টিউমার বলেই এটা মনে হচ্ছে। সাধারণত শিশুদের দু’টো মাথা নিয়ে জন্মগ্রহণ করলে তাকে ডাইসেফালিক প্যারাফেসর বলে ডাক্তারি পরিভাষায়। তবে বিষয়টা এ ক্ষেত্রে একটু অন্যরকম। একে অক্সিবিটার মেনিনজিও সেফালোসিস বলা যেতে পারে আমাদের পরিভাষায়।”
তারিফ হোসেনের বলেছেন যে , এই ধরণের শিশুকে বাঁচানো খুব দুস্কর। কারণ কোন ক্ষেত্রে কতটা অগ্রসর রয়েছে মাথার ব্রেন, নার্ভ ইত্যাদি অংশ তার উপর কাটাছেঁড়া নির্ভর করবে। অস্ত্রপ্রচার তখনই হবে যখন নাকি শিশুটি বড় হবে। কিন্তু সেক্ষেত্রেও অনেকটাই ঝুঁকি থেকে যায়। এ ধরনের চিকিৎসার কোন প্রশ্নই আসে না ওনাদের লেভেলে। ওনারা শিশুটিকে রেফার করে দিয়েছি জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে।
যতই জটিলতা থাক নবজাতক জন্ম নিয়েছে পবিত্র রমজানের মাসে। তাই মুসলিম পরিবারের একমাত্র আশা যেমন করে হোক বেঁচে থাকুক ছোট্ট এই সন্তান। রোজা রেখে তাদের সন্তানের সুস্থ জীবনের প্রার্থনায় পরিবার।