তীব্র অশান্তি চলছিল মা বাবার মধ্যে। আর সেই কারণেই বাচ্চার প্রাণ গেলো নিজের বাবার হাতেই। উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় (Dalkhola) এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। গভীর ভাবে শোকাচ্ছন্ন হয়ে রয়েছেন মা।
সূত্রের খবর, ওই শিশুটি উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলার বাজারগাঁও ১ নম্বর পঞ্চায়েতের সোনা রামপুরে থাকতো। শিশুটির বাবা ফেকারুল পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। যদিও এখন সে বাড়িতেই আছে। আর্থিক অবস্থাও খুব একটা স্বচ্ছল ছিল না কোনও কাজ না থাকায়। ফলত দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকতো বাড়িতে। পুলিশ জানিয়েছে যে , মৃত শিশুটির নাম শবনম। ফেকারুল রবিবার রাতে রোজা ভাঙার সময় এবং তাঁর স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে তার রেশ চলে। শেষে গভীর রাতে তাঁর ঘুমন্ত কন্যাকে তুলে নিয়ে গিয়ে বাড়ির কাছে সুধানী নদীর(Sudhani River) জলে ফেলে দিয়ে আসেন স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তিতে ক্ষিপ্ত ফেকারুল, এমনটাই অভিযোগ।
তবে ফেকারুলের মাথা ঠান্ডা হলে নদীর পারে ছুটে যায় হুশ ফিরতেই। যদিও বছর আড়াইয়ের । বিষয়টি প্রতিবেশীরা জানতে পারার পরই তারা থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে ডালখোলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য সোমবার সকালে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠায় পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের না হলেও তদন্ত শুরু করেছে ডালখোলা থানার পুলিশ শিশুকন্যা খুনে অভিযুক্ত বাবা ফেকরুলকে আটক করে।
সূত্রের খবর, এখনও পুলিশে এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। ওই গৃহবধূ সন্তানের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই দম্পতির মধ্যে প্রায়শই অশান্তি হত। তবে তার পরিণতি এতটা ভয়ংকর যে হবে তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি কেউ।