ডানকুনির এক যুবকের রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু ঘটলো দিঘার এক হোটেলে। ওই যুবকের দেহ হোটেলের রুমে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। বিবাহিত এই যুবকের সাথে তার প্রেমিকাও ছিলেন। এই রহস্যজনক মৃত্যুর কারণ খুন নাকি নেহাতই আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ডানকুনির ওই মৃত যুবকের নাম রাম উপাধ্যায়। পরিবারের সাথেই ডানকুনি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের হিমনগর এলাকার একটি আবাসনে থাকতেন তিনি। তিনি তার স্ত্রী সহ তিন সন্তান নিয়ে থাকতেন সেখানে। সূত্রের খবর , হলদিয়ায় কাজ রয়েছে বলে রবিবার ভোরে বাড়ি থেকে বের হন ওই যুবক। রাতে ফিরবেন বলে রওনা দিয়েছিলেন যদিও ফেরেননি। তিনি তার স্ত্রীকে ফোন করে গাড়ি খারাপ হয়ে গিয়েছে বলেছিলেন। তাই তার রাত হবে ফিরতে। পরদিন অর্থাৎ সোমবার দিন সকাল বেলায় রামের ফোনে ফোন করেন তার স্ত্রী। তখন এক মহিলা ফোন ধরেন আর বলেন তিনি মালা ঘোষ, রামের স্ত্রীকে উনিই প্রথম জানান যে তার স্বামী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। স্বভাবতই উপাধ্যায় পরিবার এই খবর পেয়ে শোকে ভেঙে পড়ে।
স্থানীয়দের থেকে জানা গেছে যে , ট্রান্সপোর্টের ব্যবসা রামের। উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা তিনি। তবে ডানকুনিতে বসবাস করছিলেন গত দশ বছর ধরে। তিনি যে আত্মহত্যা করতে পারেন, তা কেউ বিশ্বাস করতে পারছে না। পরিবারের অভিযোগ, যে রামকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়েছে এবং মালা ঘোষের সঙ্গে আরও একজন জড়িত সেই খুনে।
যুবকের পরিবারের লোকজন কিছুই জানতেন না তার এই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের (Extra Marital Affairs) বিষয়ে। যদিও ‘প্রেমিকা’ মালাকে নিয়েই রবিবার দিঘার হোটেলে উঠেছিলেন রাম। বারাসতের বাসিন্দা মালা। পুলিসকে ওই মহিলা জানিয়েছেন, তাঁকে চর মেরেছিল রাম মদের ঘোরে। এরপর নিজে আত্মঘাতী হয়। মালা হোটেলের ব্যালকনিতে ছিলেন ঘটনার সময়।