করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশ জুড়ে হাহাকার অক্সিজেন, প্রয়োজনীয় ওষুধ, কোভিড টিকা, আইসিইউ, বেড, ইঞ্জেকশনের – সব কিছুরই। এমন মারাত্বক মহমারীর জন্য ভারত যে মোটেই তৈরী ছিল না তা স্পষ্ট। এমনিতেই ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে অভাব-অভিযোগের অন্ত নেই।
আর সেসব অভিযোগ যে মিথ্যে নয় তা যেন করোনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়ঙ্কর প্রভাবেই নাজেহাল অবস্থা ভারতের। বহু রোগী অক্সিজেনে, মেডিসিন ইত্যাদির অভাবে ভুগছেন । এমন অবস্থায় এগিয়ে এসেছেন সাধারণ মানুষ বা সেলিব্রেটি অনেকেই। এই ইমার্জেন্সিতে রোগীদের কাছে অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ থেকে আরও নানা সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। তবে তাতেও যেন কুলিয়ে ওঠা যাচ্ছে না। দেশজুড়ে শুধুই প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্যে হাহাকার।
সাধারণ মানুষ থেকে সেলেব্রিটি, এমন সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে কেউই সুনির্দিষ্ট পরিষেবা পাচ্ছেন না। অক্সিজেন বা ওষুধের সাপ্লাই সময়মতো হচ্ছে না। যার জেরে প্রাণ হারাচ্ছেন বহু মানুষ। তবে এই কঠিন পরিস্থিতিতে বলিউড তারকা সোনু সুদ যেন ঈশ্বরের আশীর্বাদ রূপে নেমে এসেছেন মানুষের কাছে।
গত বছরের পরিযায়ী শ্রমিক কে বাড়ি পাঠানো হক কি এই বছর আর্তের কাছে ওষুধ অক্সিজেন পাঠানো, সবেতেই সুপারম্যান সনু সুদ। এবারে হরভজন সিংয়ের একটি টুইট দেখে সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন অভিনেতা সোনু সুদ। হরভজন অবশ্য সাহায্যটি চেয়ে টুইট করেছিলেন কর্নাটকের এক কোভিড আক্রান্ত রোগীর জন্য। যাঁর জীবন বাঁচাতে ভীষণ ভাবে প্রয়োজন ছিল রেমডিসিভির ইঞ্জেকশনের। টুইট দেখা মাত্রই সেই ব্যবস্থাও করে দিলেন সোনু সুদ।
বুধবার টুইটারে হরভজন সিং জানান, ‘একটি রেমডেসিভির সত্তর প্রয়োজন।’ টুইটের মধ্যেই তিনি বাসাপ্পা হাসপাতালের ঠিকানা আর ফোন নম্বর দিয়েছিলেন। টুইটটি বহুবার রিটুইট হয়ে যায়। টুইটারের মাধ্যমে জানতে পেরে সোনু পাল্টা টুইট করেন, ‘ভাজ্জি, রেমডেসিভির ইনজেকশন পৌঁছে দেওয়া হবে।’
এর পর হরভজন সিংহ ফের একটি টুইট করে সোনু সুদকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এই কঠিন পরিস্থিতিতে সোনু সুদ যেন আরও বহু মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারেন। হরভজন সেই কামনাই করেছিলেন।