মর্মান্তিক এক ঘটনার সাক্ষী থাকলো ময়নাগুড়ি। দাম্পত্য ফাটল। তাই বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন স্ত্রী। স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ঘুমের মধ্যেই অস্বাভাবিক মৃত্যু হল স্বামীর। নিজস্ব বাড়ির একটি ঘরের মধ্যে থেকেই উদ্ধার হয় তার মৃতদেহ। মৃত ওই ব্যাক্তির নাম কম্বু বর্মন। ওই ব্যক্তির মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে মৃত কম্বু বর্মন ময়নাগুড়ি ব্লকের দক্ষিণ পুঁটিমারি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। কম্বু বর্মণের পরিবারের লোকজন জানিয়েছে এলাহী ভাবেই বিয়ে হয়েছিল তার। স্ত্রীর নাম জানা গিয়েছে বিজয়া রায়। ওই মহিলা ময়নাগুড়ি ব্লকের ই রাজারহাট এলাকার বাসিন্দা। কিন্তু বিয়ের ১০ মাস যেতে না যেতেই সমস্যা দেখা দেয় দাম্পত্যে। স্ত্রী চলে গিয়েছিলেন বাড়ী থেকে। স্ত্রী সংসার করতে না চাইতে বসানো হয় সালিশি সভা। সেই সালিশি সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়া হবে। আর বলা হয় যে খোরপোশ বাবদ কম্বু বর্মন কে তার স্ত্রীকে মোট চার লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। কিস্তিতে ভেঙ্গে সেই টাকা মিটাচ্ছিলেন ওই ব্যাক্তি। জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই খোরপোষের ২ লাখ টাকা দিয়ে দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু দাম্পত্য এই ভাবে ভেঙ্গে যাওয়ায় ওই ব্যাক্তি কিছুটা ভেঙ্গে পড়েছিলেন বলে জানায় পরিবারের সদস্যারা। এর মধ্যে কম্বু বর্মনের মায়ের মৃত্যু হয়। খোরপোষের টাকা জোগাড় করার চাপ, বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়া, মায়ের হঠাৎ মৃত্যু সব মিলিয়ে রীতিমত অবসাদে পরে যায় ওই ব্যক্তি।
এরপরই একদিন সকালবেলা নিজের বাড়িতে তার ঘর থেকেই উদ্ধার কম্বু বর্মন এর প্রাণহীন দেহ। খবর যায় পুলিশে। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করার পর পাঠানো হয় হাসপাতালে। জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের হয়েছে কম্বু বর্মনের মৃতদেহের। মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে ঘুমের মধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন তিনি।