চিকিৎসার নাম করে এক ছাত্রের পুরুষাঙ্গ কেটে নেওয়ার মতন গুরুতর অভিযোগ উঠলো বাংলাদেশে। অভিযোগ যার বিরুদ্ধে তিনি তৃতীয় লিঙ্গের এক ব্যক্তি। ঘটনাকে কেন্দ্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে বাংলাদেশে। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ছাত্র বাংলাদেশের মাদারীপুর জেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের চর গোবিন্দা এলাকার বাসিন্দা। নাম ইয়াসিন। বয়স ১৭। সূত্র অনুযায়ী আক্রান্ত ছাত্রের পিতা এলাকার রেজাউল মোড়ল বলে জানা গিয়েছে।
ইয়াসিনের পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে খোয়াজপুর ইউনিয়নের চর গোবিন্দা এলাকারই এক ভ্যানচালকের সাথে বন্ধুত্ব ছিল ইয়াসিনের। ভ্যান চালকের নাম নুরু নপ্তী। সে এলাকার খলিল নপ্তী নামক এক ব্যক্তির ছেলে। সেই ভ্যান চালকের সাথে পরিচয় ছিল কিছু তৃতীয় লিঙ্গের ব্যাক্তি বা বৃহন্নলাদের। ওই বৃহন্নলা ‘জুঁই হিজড়া’ নামে পরিচিত। তারা মাদারীপুরের মঠেরবাজার এলাকায় থাকতো বলে জানা গিয়েছে। নুরু নপ্তীর ভ্যানে চেপেই জুঁই নামক ওই বৃহন্নলা ও তার সঙ্গী সাথীরা বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করতো। নুরু নপ্তী ইয়াসিনের সাথে একদিন জুঁই নামক ওই বৃহন্নলার পরিচয় করিয়ে দেয়।
এরপরে পরিচয়ের সূত্র ধরে জুঁই গত বৃহস্পতিবার ইয়াসিন কে চিকিৎসার অজুহাতে নিয়ে যায় খুলনা জেলার একটি হাসপাতালে। সেখানে ইয়াসিনকে জোর করে অজ্ঞান করে সেই সুযোগে তার গোপনাঙ্গ কেটে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। এরপরে জ্ঞান ফিরলে ইয়াসিন আতঙ্কে চিৎকার চেঁচামেচি জুড়ে দেয়। নিজের বাড়িতে ফিরে যেতে চায়। এরপরে জুঁই এর সঙ্গী ভ্যান চালক নুরু নপ্তী তাকে মাদারীপুর শহরের পানিছত্র এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনা ঘটার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে জুঁই নামক ওই বৃহন্নলা ও নুরু নপ্তী নামক ওই ভ্যান চালক। হাসপাতালে গিয়ে ঘটনার তদন্ত করে দেখছে বাংলাদেশ পুলিশ। দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলেছেন মাদারীপুর জেলার সদর থানার ওসি কামরুল হাসান মিয়া।
আক্রান্ত ইয়াসিন আরাফাত এই বিষয়ে বলেছেন, আমাকে চিকিৎসার অছিলায় হসপিটালে নিয়ে গিয়ে নুরু নপ্তী ও জুঁই এই সর্বনাশ করছে। আমাকেও বৃহন্নলাদের বানাতেই ওদের এই কাজ। রীতিমত চক্রান্ত করে আমায় নৃপুংশক বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আর কারো যাতে এমন ক্ষতি ওরা না করতে পারে তাই ওদের শাস্তির দাবি করছি।